বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচনের পর গঠিত সরকারে কোনোভাবেই অংশ নিতে তিনি আগ্রহী নন। তার মতে, তাদের দায়িত্ব শুধু শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা।
বুধবার (১১ জুন), লন্ডনের চ্যাথাম হাউস - রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সে এক আলোচনাসভায় বক্তব্য প্রদান করেন ড. ইউনূস। অনুষ্ঠান শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সাংবাদিক জানতে চান, তিনি কী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ভবিষ্যৎ সরকারের অংশ হতে চান?
এর উত্তরে ড. ইউনূস বলেন— "কোনোভাবেই না, একেবারেই না। আমি মনে করি আমাদের উপদেষ্টা পরিষদের কোনো সদস্যও সেটা করতে আগ্রহী হবেন না।"
ড. ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, তাদের দায়িত্ব একটি সফল, শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা, যেন জনগণ স্বচ্ছতার সঙ্গে নতুন সরকার নির্বাচন করতে পারে।
তিনি আরও বলেন— “আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে নির্বাচনটি সঠিকভাবে সম্পন্ন হবে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।”
বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে ড. ইউনূস জানিয়েছেন, তারা কোনোরকম রাজনৈতিক লোভে পা না দিয়ে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন। দেশের জনগণের স্বার্থেই এই রূপান্তরকাজে সফল হওয়া জরুরি।
ড. ইউনূসের এই স্পষ্ট বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে এক ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে। একটি স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে বলেই আশাবাদী সচেতন মহল।