আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নোবেলজয়ী ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস সম্প্রতি জাতির সামনে যে জুলাই ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করেছেন, তা রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে এক সাহসী ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। রাজধানীর সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা, মানিক মিয়া এভিনিউতে আয়োজিত ছাত্র-জনতার বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে তিনি এই ঘোষণাপত্র উত্থাপন করেন।
এই ঘোষণার মাধ্যমে ড. ইউনুস দেশের সকল ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এবং জনগণের মধ্যে নতুন আশার আলো ছড়িয়ে দেন। তাঁর বক্তব্যে সত্যনিষ্ঠতা, আত্মবিশ্বাস এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হয়েছে—যা সরাসরি দেশের কোটি মানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছে।
বিএনপির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম এই ঘোষণাপত্রকে ‘এক সাহসী ও যুগান্তকারী দলিল’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই ঘোষণার মাধ্যমে মানুষ অনুপ্রাণিত, উদ্দীপ্ত এবং উজ্জীবিত হয়েছে। এটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে একটি বড় মাইলফলক হয়ে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি ড. ইউনুসের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ সুগম হবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে জনগণের প্রত্যাশিত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা, আইনের শাসন এবং জবাবদিহিতার সংস্কৃতি পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাও তৈরি হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিশেষ করে দেশের তরুণ প্রজন্মের প্রথম ভোটারসহ কোটি মানুষ এখন প্রত্যাশা করছে—তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বলেন, “এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে ড. ইউনুস দেশবাসীর কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।”
তিনি শেষ পর্যন্ত বলেন, “আমরা সেই ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় আছি, যখন বাংলাদেশ ফিরে পাবে একটি জনগণের সরকার, গণতন্ত্র এবং ন্যায়ের শাসন।”