ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় জরুরি মানবিক সহায়তা ও যুদ্ধবিরতির জন্য একটি নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার। তিনি বলেন, গাজায় আটকে পড়া অসুস্থ ও আহত শিশুদের বিমানযোগে উদ্ধার ও চিকিৎসার জন্য সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেই সঙ্গে খাবার ফেলার জন্য বিমান ব্যবহারের পরিকল্পনাও রয়েছে যুক্তরাজ্যের।
শনিবার (২৬ জুলাই) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, স্টারমার জর্ডানের মতো অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার রূপরেখা উপস্থাপন করেছেন। এতে করে গাজায় ফাঁদে পড়া শিশুদের জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার জন্য সরিয়ে আনা এবং খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজ হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এক টেলিফোন আলাপে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মের্জ গাজা উপত্যকার ভয়াবহ মানবিক সংকট নিয়ে গভীর আলোচনা করেন। তারা একমত হন যে, বর্তমান যুদ্ধবিরতি প্রয়োজনে দীর্ঘমেয়াদি শান্তিতে রূপান্তরিত করার জন্য সুসংহত পরিকল্পনা প্রয়োজন।
তারা আরও জানান, এ অঞ্চলের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক সমাধান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা ঘনিষ্ঠভাবে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
এই আলোচনার খবর আসে এমন এক সময়ে, যখন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষ ও মানবিক বিপর্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেন এ মানবিক বিপর্যয়ের প্রতি চোখ বুজে না থাকে। গুতেরেস এটিকে ‘বিশ্ব বিবেকের সামনে একটি নৈতিক সংকট’ হিসেবে অভিহিত করেন।
বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ ও নিন্দার মধ্যে ইউরোপীয় নেতাদের এই সমন্বিত প্রচেষ্টা গাজা উপত্যকার মানুষের জন্য কিছুটা হলেও আশার আলো জাগাতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।