শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইরানের মাটিতে ইসরায়েলের পরিচালিত বড় আকারের বিমান হামলায় কমপক্ষে ৮৬ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৩৪১ জন। রাজধানী তেহরান এবং উত্তর-পশ্চিমের তাবরিজ এই হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল।
ফার্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, তেহরানেই ৭৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৩২৯ জন। বিস্ফোরণের শব্দে পুরো শহর কেঁপে ওঠে। হাসপাতালগুলোতে উপচে পড়া ভিড় এবং জরুরি পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।
উত্তর-পশ্চিম ইরানের তাবরিজে পৃথক হামলায় ৮ জন নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছেন বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন।
আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েল প্রায় ২০০টি যুদ্ধবিমান নিয়ে এই অভিযান চালায়। তাদের লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা। এতে ইরানের কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, “এই সামরিক অভিযান যতদিন প্রয়োজন, ততদিন চলবে।”
এদিকে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ বলেন, “আমি ইরানকে একের পর এক সুযোগ দিয়েছি। এখনই সময়, দেরি হওয়ার আগেই একটি চুক্তিতে আসার।”
ইরান হামলার ঘটনায় ‘কঠোর প্রতিশোধ’ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে।
হামলার ফলে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ওমানের মধ্যস্থতায় চলমান পারমাণবিক আলোচনা এখন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। রবিবার নির্ধারিত ষষ্ঠ দফা আলোচনার সম্ভাব্য বাতিলের কথা জানিয়েছে আনাদোলু।