ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোকে তার গৃহবন্দী অবস্থা থেকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) বলসোনারোর আইনজীবী সেলসো ভিলার্ডি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এই ঘটনাকে ঘিরে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
আইনজীবী ভিলার্ডি আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা এএফপিকে জানান, “তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, কিন্তু কেন তা আমি জানি না।” এ বক্তব্য প্রকাশের পর থেকেই ব্রাজিলে বলসোনারোকে ঘিরে আইনি প্রক্রিয়া ও আদেশ সম্পর্কে নতুন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তার গ্রেপ্তারি প্রক্রিয়া নিয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
৭০ বছর বয়সী জাইর বলসোনারো ২০২২ সালে একটি ব্যর্থ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার অভিযোগে তদন্তাধীন ছিলেন। তার আইনি দল পূর্বে যুক্তি দেয় যে, তাকে কারাগারে পাঠানো হলে স্বাস্থ্যের গুরুতর ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তাই ২৭ বছরের কারাদণ্ড থাকলে তা গৃহবন্দী অবস্থায় পালন করার অনুমতি দেওয়াই যুক্তিযুক্ত বলে দাবি করেছিল তারা। কিন্তু আদালত বা সরকার কেন এই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিল—তা এখনো পরিষ্কার নয়।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা ব্রাজিলের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে। বলসোনারোর সমর্থকরা এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছে। অনেকেই মনে করছেন, তার গ্রেপ্তার দেশটির রাজনৈতিক বিভাজনকে আরও তীব্র করবে।
এদিকে সরকারিভাবে এখনো কোনো বিস্তারিত বিবৃতি না আসায় বলসোনারোর গ্রেপ্তারকে ঘিরে বিভিন্ন জল্পনা-কল্পনা ছড়িয়ে পড়ছে। আন্তর্জাতিক মহলও এ ঘটনার দিকে নজর রাখছে।