প্রতারণামূলকভাবে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় আসামি মেহেদি নোমানের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত। মামলার বিবরণে উঠে এসেছে, আসামি দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন বাদী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামি মেহেদি নোমান স্বভাবগতভাবে ‘প্রতারক, আইন অমান্যকারী ও অর্থ আত্মসাৎকারী’ হিসেবে পরিচিত। অপরদিকে বাদী একজন সহজ-সরল, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও নিরীহ ব্যক্তি। দু’জনের বাড়ি জামালপুর শহরের কাচারিপাড়া এলাকায় পাশাপাশি হওয়ায় তাদের মধ্যে পূর্বপরিচয় ছিল।
এই পরিচয়ের সুবাদে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে জরুরি টাকার কথা বলে আসামি মেহেদি বাদীর কাছে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাওলাত চান এবং প্রতিশ্রুতি দেন দুই মাসের মধ্যেই পুরো টাকা ফেরত দেবেন। বাদী বিশ্বাস করে তার কথায় সম্মতি দেন।
বাদীর অভিযোগ, ২০২৫ সালের ১৬ জুলাই (বুধবার) রাত আনুমানিক ৭টা ৩০ মিনিটে আসামি তার ভাড়াটিয়া বাসায় গিয়ে টাকা গ্রহণ করেন এবং দ্রুত সেখান থেকে চলে যান। পরদিন ১৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টার দিকে আসামি তিনটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে একটি অঙ্গীকারনামা প্রস্তুত করে স্বাক্ষর করেন। সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তিনি এই অঙ্গীকারনামাটি বাদীর হাতে তুলে দেন।
তবে নির্ধারিত সময় পার হলেও আসামি টাকা ফেরত না দেওয়ায় বাদী আদালতে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে আদালত আসামি মেহেদির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। মামলার পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
জামালপুরে এমন প্রতারণার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।