ঝিনাইদহে আদালত চত্বরে চাঁদাবাজি মামলার এক স্বাক্ষীকে প্রকাশ্যে মারধর ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে ঝিনাইদহের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী কাজী ফারুক নামের ওই স্বাক্ষী পরে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
জানা গেছে, সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজারের কাজী সড়কে ২০২৪ সালে একটি চাঁদাবাজির মামলা হয়। বুধবার আদালতে মামলার চার্জ গঠন চলাকালে অভিযুক্ত আবুল কালাম ওরফে বাবুল মাস্তান, মোমিন ড্রাইভার, সালাম এবং কাজী আব্বাস ওরফে পিলু আদালত প্রাঙ্গণে স্বাক্ষী কাজী ফারুককে দেখে হুমকি দেয়।
চার্জ গঠন শেষে আদালত চত্বর থেকে বের হলে অভিযুক্তরা ফারুককে ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে আদালতে স্বাক্ষ্য দিতে এলে হত্যার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
আতঙ্কিত কাজী ফারুক ঘটনাটি আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোর্ট ইন্সপেক্টরকে জানালে তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দেন।
কাজী ফারুক বলেন, “আমি আদালতে গিয়েছিলাম সাক্ষ্য দিতে। এটাই ছিল আমার অপরাধ। আমাকে মারধর করেছে এবং হুমকি দিয়েছে। আমি থানায় জিডি করেছি, এখন জীবনের নিরাপত্তা চাই।”
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “বিষয়টি নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আদালত প্রাঙ্গণ একটি নিরাপদ এলাকা হিসেবে বিবেচিত হলেও সেখানে প্রকাশ্যে স্বাক্ষীর ওপর হামলা নতুন করে প্রশ্ন তুলছে বিচার ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপ ও দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।