ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঘোড়শাল ইউনিয়নের পাকা গ্রামে সাপের কামড়ে রাবেয়া খাতুন (১৫) নামে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অজ্ঞতা ও কুসংস্কারপূর্ণ চিকিৎসা ব্যবস্থার কারণে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, বুধবার রাতে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাবেয়া নিজ ঘরে ছিল। হঠাৎ একটি বিষধর সাপ তাকে ছোবল দেয়। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে না নিয়ে প্রথমে স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যায়। সেখানে কোনোপ্রকার চিকিৎসা না পেয়ে রাবেয়ার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সকালে তার অবস্থা আরও অবনতি হলে পরিবার আবার ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বের করে নেওয়ার পথে রাবেয়ার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মেফতাহুল জান্নাত বলেন, “রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে আমরা চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের না জানিয়ে রোগীকে নিয়ে ওঝার কাছে চলে যায়। পরে আবার যখন ফিরিয়ে আনা হয়, তখন আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পাই।”
এই ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো, এখনো দেশের অনেক গ্রামাঞ্চলে সাপের কামড়ের মতো গুরুতর বিষয়ে প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের পরিবর্তে ঝাড়ফুঁকের উপর নির্ভরতা রয়েছে। এতে করে অনেক সময় অমূল্য প্রাণ হারাতে হয়।
সাপের কামড় হলে দ্রুত নিকটস্থ সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত। ঝাড়ফুঁক বা ওঝার চিকিৎসায় সময় নষ্ট করলে মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায়।