খুলনার দিঘলিয়ায় দায়িত্ব পালনকালে জীবননাশের হুমকির শিকার হয়েছেন দিঘলিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ মনিরুল ইসলাম। এ ঘটনায় নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও জিডি সূত্রে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাট ইউনিয়নের কেটল গ্রামের মৃত ফজলুল সিকদারের কন্যা রুমা আক্তার তেরখাদা উপজেলার লষ্কারপুর গ্রামের মৃত খালিদ মোল্লার পুত্র তারেক মোল্লার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদের পর রুমা আক্তার বর্তমানে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, বিচ্ছেদের পরও তারেক মোল্লা রুমা আক্তারকে বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছিলেন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) তারেক মোল্লা গাজীরহাট ইউনিয়নের কেটল গ্রামে এসে রুমা আক্তার ও তার পরিবারের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও হয়রানি শুরু করেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রুমা আক্তার বিষয়টি সাংবাদিক মোঃ মনিরুল ইসলামকে অবহিত করেন। সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেন এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেন।
এ ঘটনার জের ধরে তারেক মোল্লা ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার বিকেলে দিঘলিয়ার খোলাবাজার এলাকায় সাংবাদিক মনিরুল ইসলামের অফিসে এসে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন বলে অভিযোগ ওঠে। স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে তাকে সরিয়ে দেওয়া হলেও পরে আরও উত্তেজিত হয়ে ০১৯৯০০২৪৬৭৯ নম্বর মোবাইল ফোন থেকে সাংবাদিক মনিরুল ইসলামের ব্যবহৃত ০১৯৫৬-৩৩৩৪৪৪ নম্বরে একাধিকবার জীবননাশের হুমকি দেন।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক জানান, হুমকির কলগুলোর অডিও রেকর্ড সংরক্ষিত রয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে তিনি নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এ ঘটনায় দায়ের করা জিডির নম্বর ৬৯১, তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫।
স্থানীয় সাংবাদিক মহল মনে করছে, পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণে একজন সাংবাদিকের ওপর এ ধরনের হুমকি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক। তারা দ্রুত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।