জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ২০০৭ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা গুলি চালিয়েছিল, যারা হামলা করেছিল, সেই ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীরা এখনো দেশ-বিদেশে, বিশেষ করে ভারতে অবস্থান নিয়ে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে। তিনি বলেন, “এই খুনি হাসিনা ও স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগকে বিচারের মুখোমুখি করতেই আমরা মাঠে নেমেছি।”
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেল সোয়া ৩টায় গাইবান্ধা পৌর শহীদ মিনার চত্বরে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির উদ্বোধনী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এই পদযাত্রা জুলাই মাসব্যাপী দেশের প্রতিটি জেলায় অনুষ্ঠিত হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই আন্দোলন কোনো দলকে সরিয়ে আরেক দলকে বসানোর জন্য ছিল না। এটি ছিল একটি সিস্টেম চেঞ্জের আন্দোলন। নতুন বাংলাদেশে আমরা চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, লুটপাট ও দখলদারিত্ব চাই না। সকল বৈষম্য দূর করে নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই আন্দোলন আমাদের ভয় ভাঙিয়েছে। মানুষ এখন নির্ভয়ে কথা বলছে। আর সেই সাহস নিয়েই আমরা নতুন রাষ্ট্র গঠনের পথে এগোচ্ছি।” তিনি ঘোষণা দেন, “গাইবান্ধা থেকে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছে। এখানে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবাই মতপ্রকাশ ও অধিকারভিত্তিক সমাজে বসবাস করবে।”
জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাইফুল্লাহ হায়দার, আসাদুল্লাহ আল গালিব, আবু সাঈদ লিয়ন, সদস্য ফিহাদুর রহমান দিবস প্রমুখ।
সমাবেশে কেন্দ্রীয় সদস্য ফিহাদুর রহমান দিবস গাইবান্ধার কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, ইপিজেড ও শিল্প কারখানা স্থাপন এবং জেলা জেনারেল হাসপাতালের সেবার মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের দাবি জানান।
এর আগে সকালে এনসিপি নেতৃবৃন্দ রংপুরের পীরগঞ্জে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন। এরপর সাদুল্লাপুর উপজেলা সদর হয়ে গাইবান্ধায় এসে সমাবেশে অংশ নেন। সমাবেশ শেষে তারা সড়ক পথে পলাশবাড়ীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।