ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানায় সদ্য যোগদান করা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জেল্লাল হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের উদ্দেশ্যে কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্যদের আমন্ত্রণপত্র পাঠান। আমন্ত্রণের প্রতি সম্মান জানিয়ে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রায় ৪০ জন সাংবাদিক থানায় উপস্থিত হন।
কিন্তু নির্ধারিত সময়ে থানায় উপস্থিত ছিলেন না আমন্ত্রণদাতা ওসি জেল্লাল হোসেন কিংবা থানার কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর সাংবাদিকরা ওসির মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তিনি জরুরি কাজে বাইরে রয়েছেন এবং থানায় ফিরতে আনুমানিক আরও ৩০ মিনিট সময় লাগবে।
এদিকে, থানায় অপেক্ষারত সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কর্মকর্তা সৌজন্যমূলক আচরণ বা খোঁজখবর না নেওয়ায় উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। মতবিনিময়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত না থাকা এবং সাংবাদিকদের প্রতি এই অবহেলামূলক আচরণকে অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন সাংবাদিকরা। এ ঘটনার তীব্র নিন্দাও জানিয়েছেন তারা।
এ সময় কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্যে ছিলেন— সমকাল প্রতিনিধি জামির হোসেন, ডেইলি স্টারের আজিবর রহমান, প্রতিদিনের বাংলাদেশ ও সময়ের খবরের হাবিব ওসমান, যুগান্তর ও দীপ্ত টিভির শাহরিয়ার আলম সোহাগ, কালবেলার ওসমান গনি জুয়েল, নাগরিক টেলিভিশনের মিশন আলী, জিটিভির অলিয়ার রহমান, দৈনিক সংবাদের সাবজাল হোসেন, উচ্চকণ্ঠ নিউজের সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম রবি, ইনকিলাব ও বাংলাদেশ বেতারের আহসান কবির, ইত্তেফাক ও বৈশাখী টেলিভিশনের রফিকুল ইসলাম মন্টু, আজকালের খবর ও ডেইলি ট্রাইবুনালের আরিফ মোল্লা, গ্রিন টিভির আশিকুর রহমান, নয়া দিগন্তের রুহুল আমিন সৌরভসহ বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিক ও ক্যামেরাপার্সনরা।
সাংবাদিকরা আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে প্রশাসন ও গণমাধ্যমের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।