দেশজুড়ে বজ্রপাতে একদিনে ৬ জেলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) দিনের বিভিন্ন সময়ে এসব ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে কুমিল্লায় ৩ জন, নারায়ণগঞ্জে ১ জন, ঝিনাইদহে ২ জন, গাইবান্ধায় ১ জন, কুড়িগ্রামে ২ জন এবং বগুড়ায় ১ জন রয়েছেন।
বিকেলে হোমনা উপজেলার ভবানীপুর খেয়াঘাট এলাকায় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন—নালা দক্ষিণ গ্রামের মৃত হাজী মতিউর রহমানের মেয়ে মমতাজ বেগম (৩৫) ও জাকিয়া (২৫) এবং খোদে দাউদপুর গ্রামের রাহিনুর ইসলামের ছেলে রাশেদ মিয়া (২২)।
আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া এলাকায় বজ্রপাতে মারা গেছে স্কুলছাত্র ওয়াসিম (১৩)। সে উলুকান্দি এলাকার দিলা মিয়ার ছেলে এবং স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
সকালে মাঠে কাজ করার সময় পৃথক দুই ঘটনায় বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন সদর উপজেলার আড়মুখী গ্রামের শিমুল বিশ্বাস (২৮) এবং শৈলকূপার শেখড়া গ্রামের হুরমত শেখ (৫৫)।
গাইবান্ধার সাঘাটায় বজ্রপাতে আব্দুল আজিজ (৪৫) নামে এক কৃষক নিহত হন। তিনি হলেন উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দীঘলকান্দী গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।
নাগেশ্বরী উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন মাদরাসা শিক্ষার্থী মোহাম্মদ বাবলু মিয়া (৭) ও সহিব। বাবলু নুনখাওয়া ইউনিয়নের কালিকাপুর এলাকার নূর হোসেনের ছেলে এবং স্থানীয় একটি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। সহিব বামনডাঙা ইউনিয়নের চর লুচনি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নারুয়ামালা ইউনিয়নের প্রথমাছেও গ্রামে বজ্রপাতে শেফালি বেগম (৪০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়। তিনি স্থানীয় দেলোয়ার প্রামাণিকের স্ত্রী ছিলেন।
প্রতিটি ঘটনাতেই বজ্রপাতের সময় বৃষ্টির মধ্যে মাঠে কাজ করা বা খোলা জায়গায় অবস্থান করার কারণে প্রাণহানি ঘটে। স্থানীয় প্রশাসন নিহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে এবং সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।