পিরোজপুর-১ আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী, আল্লামা সাঈদীপুত্র ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জননেতা মাসুদ সাঈদী বলেছেন, ১৯৭১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা অধিকাংশ দল নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জনগণের টাকা লুটপাট করেছে এবং দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী কখনও দুর্নীতিতে জড়ায়নি, ক্ষমতার অপব্যবহার করেনি—এর প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। তিনি বলেন, তার পিতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ১০ বছর সংসদ সদস্য ও তিনি নিজে ৫ বছর উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালে কোনো দুর্নীতি করেননি।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় ইন্দুরকানী (জিয়ানগর) উপজেলাধীন সদর ইউনিয়ন যুব বিভাগের উদ্যোগে ঘোষেরহাট বাজারে আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মাসুদ সাঈদী।
জামায়াতকে রাজাকার বলার সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের অনুসারীরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে কলঙ্কিত করতে জামায়াতকে রাজাকার বলেছে। বিএনপিসহ অন্যান্য দলও সেই সুরে সুর মিলিয়েছে। এসব মিথ্যা অপবাদের কারণেই আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়েছে এবং দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। তাই একই ভুল অন্য দলগুলোকে না করার আহ্বান জানান তিনি।
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন প্রসঙ্গে মাসুদ সাঈদী বলেন, ১৯৭১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত যেসব সরকার গঠিত হয়েছে, তারা মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ভোটারদের সমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় এসেছে। বাকি ৬৫ শতাংশ ভোটারের মতামতকে উপেক্ষা করা হয়েছে। পিআর পদ্ধতিতেই সকল জনগণের মতামতের গুরুত্ব দেওয়া সম্ভব বলে তিনি উল্লেখ করেন।
নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সম্প্রতি পিরোজপুর সদর উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলে নিজেদের কর্মীরাই ব্যালট বাক্স ছিনতাই করেছে। সেখানে মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাসুদ সাঈদী বলেন, “আল্লামা সাঈদী সংসদ সদস্য থাকাকালীন যে উন্নয়ন করেছেন, আমি তা সম্পন্ন করতে চাই। আমাকে নির্বাচিত করলে পিরোজপুর-১ আসনকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলবো।” তিনি জানান, গত এক বছরে তিনি ইন্দুরকানিতে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ইন্দুরকানি হাসপাতাল সংস্কার, চারতলা ডাকবাংলো নির্মাণ, সন্ন্যাসী থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত চার লেনের সড়ক, পিরোজপুর পৌরসভা সংস্কার, সুপেয় পানির জন্য ৬টি ফিল্টার এবং নাজিরপুর থানা ও হাসপাতাল সংস্কারসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করেছেন।
যুব সমাবেশে সদর ইউনিয়ন যুব বিভাগের সভাপতি মাওলানা ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আহাদুল ইসলাম নাঈমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিয়ানগর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আলী হোসেন, সেক্রেটারি তৌহিদুর রহমান রাতুল, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল হাই, সদর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা খাইরুল বাশার, উপজেলা বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা কবির হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।