খুলনার দিঘলিয়ায় সর্বজন স্বীকৃত বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মাওলানা খান আব্দুল গফুর (৮৫) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে নিজ বাসভবনে অসুস্থ অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র, দুই কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মাওলানা খান আব্দুল গফুর ছিলেন মরহুম ছোট মাওলানা খাঁন ফজলউদ্দিনের পুত্র। তিনি দীর্ঘদিন দিঘলিয়ার মৌলভী বাড়ি জামে মসজিদে ইমামতি করেছেন এবং কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ইমামের দায়িত্ব পালন করেছেন। জীবদ্দশায় তিনি বহু মাদ্রাসা, মসজিদ ও ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা এবং ইসলাম প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
তার মৃত্যুতে দিঘলিয়া উপজেলাসহ খুলনার রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দিঘলিয়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপজেলা চেয়ারম্যান, আলেম-ওলামা, রাজনৈতিক নেতা, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ হাজারো মানুষ অংশ নেন।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, মরহুমের জানাজার নামাজে ইমামতি করেন তার বড় ছেলে মাওলানা রেজোয়ান। উপস্থিত বক্তারা বলেন, তার জীবন ছিল সততা, নৈতিকতা ও ইসলামি শিক্ষায় ভরপুর। তিনি শুধু একজন আলেম নন, বরং ছিলেন একজন আদর্শবান মানুষ যিনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন।
তার মৃত্যুতে দিঘলিয়া বাসী একজন প্রজ্ঞাবান ইসলামি ব্যক্তিত্বকে হারালো, যা সহজে পূরণ হবার নয়। সর্বস্তরের মানুষ তার রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেছেন—আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন।