বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে আরেকটি উজ্জ্বল অধ্যায় যুক্ত হতে যাচ্ছে। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টটি হতে যাচ্ছে মুশফিকুর রহিমের ক্যারিয়ারের শততম ম্যাচ। দেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ১০০ ম্যাচ স্পর্শ করা প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হয়ে উঠছেন তিনি। এটি শুধু তার ক্যারিয়ারের নয়, বরং দেশের ক্রিকেট ইতিহাসেও এক অসাধারণ মাইলফলক।
এই ঐতিহাসিক অর্জনকে সম্মান জানাতে ভুল করেননি আয়ারল্যান্ড দলের প্রধান কোচ হেনরিখ মালান। সোমবার (১৭ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,
“দেশের জন্য ১০০টি টেস্ট খেলা বিশাল অর্জন। আমরা এখন পর্যন্ত মাত্র ১০টি টেস্ট খেলেছি। তাই বুঝতে পারি, তিনি কতটা কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্যের মধ্য দিয়ে এই জায়গায় পৌঁছেছেন।”
তবে মজার ছলে তিনি যোগ করেন,
“অভিনন্দন থাকল—তবে আশা করি আগামী পাঁচ দিন সে খুব একটা ভালো খেলবে না!”
মালান মনে করিয়ে দেন, টেস্ট ক্রিকেটে সাফল্য কখনোই সহজ নয়। এর পেছনে থাকে দীর্ঘ সময়ের নিবিড় অনুশীলন, শত শত নেট সেশন এবং মানসিক দৃঢ়তা। সেই জায়গায় মুশফিকের ধারাবাহিকতা তাকে আরও বিশেষ করে তোলে।
আইরিশ কোচ বিশেষভাবে প্রশংসা করেন মুশফিকের পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার। তিনি বলেন,
“প্রতিদিন সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে নাস্তার টেবিলে দেখা যায় তাকে। এরপর সে সবার আগে মাঠে যায় এবং অনুশীলন শুরু করে। অন্যরা আসার আগেই তার স্ট্রেচিং, ব্যাটিং প্র্যাকটিসসহ সব প্রস্তুতি শেষ হয়ে যায়।”
তার মতে, যে খেলোয়াড় অন্ধকারে কঠোর পরিশ্রম করে, আলো জ্বলার সময় সে স্বাভাবিকভাবেই সফল হয়—এবং মুশফিকুর রহিম বারবার প্রমাণ করেছেন তিনি ঠিক তেমনই একজন।
সিলেট টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হেরে যাওয়ার পর সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমেছে আয়ারল্যান্ড। তবে মালানের মতে, মুশফিকের মতো ফর্মে থাকা ও অভিজ্ঞ ব্যাটারকে থামানোই তাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখ এখন মিরপুরে—যেখানে দেশের সবচেয়ে সফল টেস্ট ব্যাটার লিখতে যাচ্ছেন এক নতুন ইতিহাস।