শুক্রবার (১৬ মে) বিশেষ বাহিনীর সামরিক মহড়া পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, “উত্তর কোরিয়াকে আধুনিক যুদ্ধের সব স্তরের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম শনিবার এই তথ্য প্রকাশ করে। এতে জানানো হয়, মহড়ায় শারীরিক অনুশীলনের পাশাপাশি সমুদ্র ও আকাশপথে অভিযান, ট্যাংক চলাচল এবং গোলাবর্ষণ অনুশীলন ছিল।
মহড়ার ভিডিওতে দেখা যায়, উত্তর কোরিয়ার সেনারা বালুময় ভূমিতে ট্যাংক চালাচ্ছে, সৈন্যরা রাবারের নৌকা থেকে সৈকতে নামছে এবং হেলিকপ্টার থেকে রশি বেয়ে নিচে নামছে। সব পর্যবেক্ষণ করছিলেন কিম নিজেই, যার চারপাশে ছিলেন দেশের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, চিফ অব স্টাফ এবং অন্যান্য শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা।
পর্যবেক্ষণ শেষে কিম বলেন, "আমাদের প্রশিক্ষণের দৃষ্টিভঙ্গি এখন বদলাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হলো সামরিক ও প্রযুক্তিগত প্রস্তুতির সর্বোচ্চ মান অর্জন করা এবং অস্ত্র ব্যবস্থাগুলোর কার্যকারিতা বাড়ানো।”
তিনি আরও বলেন, আধুনিক যুদ্ধের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আইটি সিস্টেম ও বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ পদ্ধতিকে প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, সাম্প্রতিক এক ঘোষণায় কিম জং-উন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্বীকার করেন যে, উত্তর কোরিয়ার কিছু সেনা ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার পক্ষে লড়াই করছে। কিম সেই সৈন্যদের “বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধচেতনা”-র জন্য প্রশংসা করেন এবং বলেন, “এটি রাশিয়া-উত্তর কোরিয়া সম্পর্ককে অটল শিলার মতো মজবুত করবে।” এই বার্তা বিশ্ব রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন উত্তেজনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।