পিরোজপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু জাতীয় দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদকে "মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত" আখ্যা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
রোববার (১১ মে) দুপুরে পিরোজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ বক্তব্য দেন। এ সময় পিরোজপুর জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১০ মে ২০২৫, যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে তার নামে একাধিক গাড়ি, ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগ আনা হয় যা সম্পূর্ণ কাল্পনিক ও অসত্য। তিনি অভিযোগ করেন, একটি কুচক্রী মহল ও আওয়ামী লীগের কিছু দোষর তার রাজনৈতিক ভাবমূর্তি নষ্ট করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই সংবাদটি প্রকাশ করিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “আমার নামে বর্তমানে মাত্র একটি গাড়ি আছে, ২০১৩ সালে কেনা। তার আগেরটি ২০০৫ সালে কেনা হয়েছিল এবং সেটি আমি পরিবর্তন করেছি। সংবাদে উল্লেখিত ‘আগুনে গাড়ি পুড়ে যাওয়ার’ তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যাচার।”
তিনি দাবি করেন, সংবাদে তার নিকটাত্মীয়দের গাড়ি ব্যবসা ও মালিকানা ভুলভাবে তার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়েছে, অথচ তার আত্মীয়রা প্রবাসে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছেন। তার ছেলে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে, তার কোনও ব্যবসা বা ব্যবসায়িক পার্টনারশিপ নেই। এমনকি তার নামে কোনও ইটভাটাও নেই।
চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগের ব্যাপারে লাভলু বলেন, “আমি ভান্ডারিয়া বা পিরোজপুর জেলার কোথাও কোনও টেন্ডার সংক্রান্ত হস্তক্ষেপ করিনি। সংবাদে যা বলা হয়েছে, তা মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপির বিভিন্ন কমিটি গঠনে কোনো অনিয়ম হয়নি এবং বহিষ্কারের বিষয়ে সংবাদে যা বলা হয়েছে তা ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এতে আমার হস্তক্ষেপ ছিল না।”
১৯৯৬ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার সংক্রান্ত একটি কাল্পনিক ঘটনাতেও তার ও তার ভাইয়ের নাম জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
আঃ ছালাম বাতেন, শেখ শহিদুল্লাহ শহীদ, হাসানুল কবির লীন, আফজাল হোসেন টিপু, শরিফ হোসেন মনি, ইমদাদুল হক মাসুদ, হাসান আল মামুন, সালাউদ্দিন কুমারসহ জেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।