পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ভৈরামপুর গ্রামে এক হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ৭৫ বছর বয়সী রোকেয়া বেগমকে (স্ত্রী—মৃত মোক্তার আলী) নিজ বসত ঘরের ভেতর নির্মমভাবে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে প্রতিবেশীরা ঘরের ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পান। পরে বিষয়টি পিরোজপুর সদর থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘরের মেঝে থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাতের কোনো এক সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী রেবেকা বেগম জানান, রোকেয়া বেগম স্বামীর মৃত্যুর পর দীর্ঘদিন ধরে একা বসবাস করতেন। প্রতিবেশীরা প্রতিদিন খোঁজ নিতেন। ঘটনার দিন সকালে তার আপন জা ডাকতে এসে সামনের দরজা বন্ধ পান এবং সাড়া না পেয়ে পিছনের দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকে রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান। পরে বিষয়টি নাতি আমিনুলকে জানানো হয়, তিনিই পুলিশকে খবর দেন।
নিহতের দুই ছেলে লিটন হাওলাদার ও মহসিন হাওলাদার। ছোট ছেলে মহসিন বর্তমানে বিদেশে এবং বড় ছেলে লিটন একই এলাকায় আলাদা বাড়িতে থাকেন। মেয়ে মাহফুজা আক্তার থাকেন স্বামীর বাড়িতে।
রোকেয়া বেগমের ছেলে লিটন হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, “আমাদের একই এলাকার রুমান হাওলাদারের পরিবারের সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। তারা আমাদের নানা সময় হুমকি দিয়েছে।”
পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, “এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলেই প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তদন্ত শুরু করেছে।”
এ ঘটনায় পুরো এলাকায় চরম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রোকেয়া বেগমের হত্যাকাণ্ডের পেছনে জমি বিরোধই মূল কারণ কি না—তা খুঁজে বের করতে তদন্ত জোরদার করা হয়েছে।