পিরোজপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা শাখার উদ্যোগে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র নায়েব আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়েখে চরমোনাই)।
সমাবেশের মঞ্চ করা হয় জুলাই স্মৃতিস্তম্ভকে পেছনে রেখে। পাশাপাশি পাশের শহীদ মিনারে দলীয় ব্যানার টাঙানো হয়। এমনকি কিছু মানুষ শহীদ মিনারে জুতা পায়ে উঠে পড়েন। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধারা এবং স্থানীয় মুক্তিকামী মানুষ।
জুলাই আন্দোলনের অন্যতম আন্দোলনকারী আফরোজা তুলি বলেন, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক অধিকাংশ দলই জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের অধিকার ফিরে পেয়েছে। অথচ আজ সেটিকে অবহেলা করা হচ্ছে। আমরা জীবিত থাকতে জুলাই আন্দোলনের প্রতি কোনো বিদ্বেষ মেনে নেব না।”
পিরোজপুর জুলাই যোদ্ধা সংসদের সাবেক আহ্বায়ক কাজী আবু হানিফ জানান, তিনি ঘটনাস্থলে থাকলেও তা খেয়াল করেননি। পরে শুনে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন এবং প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান যেন এ ধরনের অবমাননা আর না ঘটে।
জুলাই যোদ্ধা তাহমীদ আল নাসীব বলেন, “জুলাই স্মৃতিস্তম্ভকে পেছনে রেখে সমাবেশ করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। যারা করেছে তাদের কাছে প্রশ্ন—এটা কতটা যৌক্তিক?”
তবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পিরোজপুর জেলা শাখার সেক্রেটারি মো: মনিরুল ইসলাম বলেন, “আমরা যখন অনুমতি নিয়েছিলাম তখন সেখানে কোনো স্মৃতিস্তম্ভ ছিল না। জুলাই আন্দোলনের প্রতি আমাদের সম্মান আছে। আর শহীদ মিনারে কে ব্যানার টেনেছে তা আমাদের জানা নেই। চোখে পড়লে আমরা তা সরিয়ে ফেলতাম।”
এ ঘটনাকে ঘিরে পিরোজপুরে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, শহীদ মিনার ও স্মৃতিস্তম্ভ জাতির গৌরবের প্রতীক, তাই ভবিষ্যতে এ ধরনের অবমাননা যেন আর না ঘটে সেদিকে সকলের দৃষ্টি রাখা জরুরি।