প্রকৃতিতে এখন শরতের ছোঁয়া। নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর মাঠ-ঘাটজুড়ে দুলছে সাদা কাশফুল। সেই শুভ্র কাশফুলের সৌন্দর্য ঘিরেই পিরোজপুরে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
নদী বা জলাভূমির তীরে, মাঠে এবং রাস্তার ধারে এখন দেখা যাচ্ছে কাশফুলের দোলা। বাতাসের হালকা ছোঁয়ায় দুলতে থাকা কাশফুলের দল যেন আকাশের সাদা মেঘের সঙ্গে মিশে এক স্বপ্নময় দৃশ্য তৈরি করছে। কবি ও সাহিত্যিকদের কল্পনার খোরাক যোগানো এই কাশফুল শরতের আগমনের প্রতীক। প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে এটি এক অপার আনন্দের উৎস।
একজন সাহিত্যপ্রেমী বলেন, “শরত বছরের শেষ, কিন্তু সবচেয়ে সুন্দর ঋতু। শরতের আকাশে থাকে এক অদ্ভুত ঝলক, যা গ্রীষ্ম বা বর্ষায় দেখা যায় না। শরৎ যেন প্রকৃতির চিরন্তন সংশোধনকারী।”
পিরোজপুর শহরের বাইপাস সড়ক ও মডেল মসজিদ সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে শরতের কাশবন। প্রতিদিন সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন পরিবার-পরিজন, তরুণ-তরুণী ও শিশুরা। অনেকে প্রিয়জনকে নিয়ে ছুটে আসছেন শুভ্র কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
দর্শনার্থীরা শুধু উপভোগই করছেন না, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও শেয়ার করছেন শরতের এই মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক রূপ। সেলফি তোলা ও ছবি পোস্ট করার এক আনন্দমুখর প্রতিযোগিতা চলছে কাশবনের আশপাশে।
স্থানীয় দর্শনার্থী আশিকুর রহমান বলেন, “প্রকৃতির এই সৌন্দর্য আমাদের মনে আনন্দ জাগায়। কাশবনের এমন দৃশ্য দেখলে মন প্রফুল্ল হয়ে ওঠে।”
আরেক দর্শনার্থী আফরোজা তুলি বলেন, “পিরোজপুরে পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার স্থান খুব বেশি নেই। কিন্তু এই কাশবনে এসে পরিবার-পরিজন নিয়ে সুন্দর সময় কাটানো যায়।”
প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে কাশফুল মানেই শরতের আগমন বার্তা। তাই শুভ্র কাশফুলের দোলায় এখন পিরোজপুরজুড়ে বিরাজ করছে শরতের উৎসবের আবহ।