পিরোজপুরের ইন্দুরকানী (জিয়ানগর) উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নে ভয়াবহ এক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। পরকীয়া সম্পর্কের জেরে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো: শহিদুল ইসলাম হাওলাদার (৫০) এবং তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী মাকুল বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। একই ঘটনায় শহিদুল ইসলামের স্ত্রী রেহেনা বেগমকে মারাত্মকভাবে কুপিয়ে আহত করা হয়।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২৭ জুন) রাত ১১টার দিকে ২নং পশ্চিম চরবলেশ্বর ওয়ার্ডের নিজ বাড়িতে হামলাকারীরা অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। নিহত শহিদুল ইসলামের মেয়ে সুমনা আক্তার তোয়া জানান, তার বাবা বাড়ির সামনে পুকুরঘাটে বসা ছিলেন। সে সময় প্রতিবেশী সৌদি প্রবাসী ইউনুস, রফিকুল ইসলাম হাওলাদার, ও লিটন হাওলাদার সহ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার বাবার ওপর হামলা চালায়।
বাবাকে রক্ষা করতে গিয়ে মা রেহেনা বেগম এবং চাচী মাকুল বেগম এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদেরও কুপিয়ে জখম করে। ঘটনাস্থলেই শহিদুল ইসলাম ও মাকুল বেগম মারা যান। এছাড়া শহিদুল ইসলামের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে পারিবারিক সূত্র।
স্থানীয়রা আহত রেহেনা বেগমকে প্রথমে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় দেড় মাস আগে সৌদি আরব থেকে ফিরে আসা ইউনুস তার স্ত্রীর সঙ্গে শহিদুল ইসলামের পরকীয়া সম্পর্ক আছে এমন সন্দেহ করতেন। এছাড়া পূর্ব বিরোধও ছিল। এসব কারণেই পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে তারা মনে করছেন।
ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মারুফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। ঘাতকদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নাসরিন জাহান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেফতারে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চলছে।