গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খাঁন বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফ্যাসিস আ'লীগ ও তাদের দোসররা অংশ নিতে পারবে না। বাংলার মাটিতে আর কখনো ২০১৮ বা ২০২৪ সালের মতো প্রহসনের নির্বাচন হবে না। এবার হবে জনগণের নির্বাচন—যেখানে দুর্নীতিবাজ বা স্বৈরশাসকদের কোনো স্থান থাকবে না।
শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর অডিটরিয়ামে আয়োজিত ‘রাষ্ট্র সংস্কার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং ঝিনাইদহ-৪ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী প্রভাষক সাখাওয়াত হোসেনের পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ খাঁন বলেন, “এই সরকারের এক উপদেষ্টা স্বীকার করেছেন—একজন সংসদ প্রার্থীর নির্বাচনে ২০-২৫ কোটি টাকা খরচ হয়। এই সংস্কৃতি আমরা ভাঙতে চাই। নগদ টাকা, মাংস বা কোনো উপঢোকন দিয়ে যদি কেউ ভোট চাইতে আসে, জনগণ যেন তাদেরকে ঝাটা মেরে তাড়িয়ে দেয়।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন আয়োজন নিয়ে সরকার এখনো তালবাহানা করছে। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে যদি নির্বাচন না হয়, তাহলে দেশে আরেকটি ১/১১ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।”
গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, “তৃণমূলে এখনো দখলদারিত্ব ও সন্ত্রাস চলছে। এসব অপকর্ম রুখতে জুলাই আন্দোলনের সব দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামতে হবে। কারণ, সন্ত্রাসীর কোনো দলীয় পরিচয় নেই।”
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদ ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, উপজেলা সভাপতি সোলাইমান হোসেন, যুব ও ছাত্র পরিষদের জেলা নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
সভায় বক্তারা বলেন, গণঅধিকার পরিষদ জনগণের অধিকার আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবে। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়, আর সেই পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত নতুন প্রজন্ম।