যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ও সতর্কতা সত্ত্বেও ভারতে নিরবচ্ছিন্নভাবে জ্বালানি তেল সরবরাহ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তিনি এই ঘোষণা দেন। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটি পুতিনের প্রথম ভারত সফর, যা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
গত আগস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ান তেল ক্রয়ের কারণে বেশিরভাগ ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি—রাশিয়া থেকে তেল কেনার অর্থ ইউক্রেন যুদ্ধের তহবিলে সহায়তা করছে। এমন প্রেক্ষাপটে পুতিনের এ ঘোষণা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুতিন দিল্লিতে পৌঁছালে তাকে লাল গালিচায় অভ্যর্থনা জানানো হয়। প্রটোকল ভেঙে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে উপস্থিত হন এবং রুশ প্রেসিডেন্টকে আলিঙ্গন করে স্বাগত জানান। দুই দেশের ঘনিষ্ঠ কৌশলগত সম্পর্কের প্রতিফলন ছিল এই দৃশ্য।
বৈঠকে পুতিন বলেন, "রাশিয়া তেল, গ্যাস, কয়লা এবং ভারতের জ্বালানি উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুর একটি নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী। দ্রুত বর্ধনশীল ভারতীয় অর্থনীতির জন্য আমরা জ্বালানির নিরবচ্ছিন্ন চালান চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।"
উত্তরে মোদি বলেন, "জ্বালানি নিরাপত্তা ভারত-রাশিয়া অংশীদারিত্বের একটি শক্তিশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।"
উল্লেখ্য, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ভারত রাশিয়ার অন্যতম বৃহৎ তেল ক্রেতায় পরিণত হয়। যেখানে ইউরোপীয় দেশগুলো রাশিয়ার তেল ও গ্যাস আমদানি কমিয়ে দেয়, সেখানে ভারত উল্টো রাশিয়ার সঙ্গে জ্বালানি বাণিজ্য বৃদ্ধি করে।