দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সিঙ্গাপুরভিত্তিক গানভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড ও ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এই এলএনজি সংগ্রহ করা হবে। এতে সরকারের ব্যয় হবে মোট ১ হাজার ৩৫ কোটি ৭৩ লাখ ৬ হাজার ৮৪৭ টাকা।
বুধবার (২৩ জুলাই) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন পায়।
সরকার বর্তমানে কাতার ও ওমানের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় বছরে মোট ৩.৫ এমটিপিএ এলএনজি আমদানি করছে। তবে চাহিদা বিবেচনায় অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে অ্যানুয়াল ডেলিভারি প্রোগ্রাম (এডিপি)-এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে অতিরিক্ত এলএনজি সংগ্রহ করা হচ্ছে। ২০২৫ সালে স্পট মার্কেট থেকে মোট ৫৯ কার্গো এলএনজি আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায়, ২১-২২ আগস্ট সময়ে সরবরাহের জন্য একটি কার্গো এলএনজি আমদানির দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রাথমিক আহ্বানে প্রয়োজনীয় কোটেশন না পাওয়ায় পুনরায় ১৪ জুলাই ২৩টি চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের কাছে কোটেশন পাঠানো হয়। ৭টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করলে, গানভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজি ১২.২২ মার্কিন ডলারে সরবরাহ করবে। এ কার্গোর মোট পরিমাণ ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ, যার জন্য ব্যয় হবে ৫১৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
অন্যদিকে, ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড থেকে আরেক কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাবও বৈঠকে অনুমোদিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজি সরবরাহ করবে ১২.৪৩ মার্কিন ডলারে। এতে ব্যয় হবে ৫২২ কোটি ২৭ লাখ ৭১ হাজার ৭৬৯ টাকা।
দুইটি পৃথক দরপত্রে উভয় প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয় এবং প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশক্রমে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি অনুমোদন প্রদান করে।
সরকারের এ উদ্যোগ দেশের বিদ্যমান গ্যাস সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।