২০২৪ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ২৩ গুণ। সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশের নামে জমা রয়েছে ৫৯ কোটি ৮২ লাখ সুইস ফ্রাঁ, যার পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা (প্রতি ফ্রাঁ ১৫০ টাকা ধরে)।
২০২৩ সালের শেষে এই পরিমাণ ছিল মাত্র ২ কোটি ৬৪ লাখ ফ্রাঁ, বাংলাদেশি মুদ্রায় আনুমানিক ৩৯৬ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে এই পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২৩ গুণ।
সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশের নামে থাকা অর্থের মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পাওনা, বিনিয়োগকারীদের জমা অর্থ, সুইস পুঁজিবাজারে বাংলাদেশি বিনিয়োগের অংশ, বাংলাদেশ ব্যাংকের দাবি অনুযায়ী, এই অর্থের ৯৫ শতাংশই বাণিজ্যিক ব্যাংকের বাণিজ্যিক লেনদেন সংক্রান্ত। তবে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছেন, এর একটি অংশ হতে পারে পাচার করা অবৈধ অর্থ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সুইস ব্যাংকে এতো বড় অঙ্কের অর্থ জমা হওয়া অর্থ পাচারের ইঙ্গিত দিতে পারে।
তবে সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করে না।
বাংলাদেশের Bureau of Financial Intelligence (BFIU) কয়েক দফা সুইজারল্যান্ডের FIU-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, তবে কোনো নির্দিষ্ট তালিকা বা বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। সুইস কর্তৃপক্ষ জানায়, যদি অবৈধ অর্থের নির্দিষ্ট প্রমাণ দেওয়া যায়, তবে তারা তথ্য সরবরাহে সহযোগিতা করবে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো— সুইস ব্যাংকে যদি বাংলাদেশি কোনো নাগরিক অন্য দেশের নাম ব্যবহার করে অর্থ রাখেন, তাহলে তা এই পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এছাড়া, সুইস ব্যাংকে মূল্যবান শিল্পকর্ম, স্বর্ণ কিংবা দুর্লভ বস্তু রাখলেও তার আর্থিক মূল্য বিবেচনায় আনা হয়নি। বিশ্বের বহু দেশের নাগরিকই সুইজারল্যান্ডের ভল্টে ব্যক্তিগত সম্পদ গচ্ছিত রাখেন।