সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতা ও প্রার্থীদের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, গত কয়েক দিনের ঘটনা এবং বিশেষ করে চট্টগ্রামে বিএনপির এক প্রার্থীর ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা প্রমাণ করছে—দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসছে।
তারেক রহমান বলেন, “গত কয়েক দিনের ঘটনা, গতকালকের ঘটনা, চট্টগ্রামে আমাদের প্রার্থীর উপরে গুলিবর্ষণের ঘটনা—এই সবকিছু নিয়েই কিন্তু প্রমাণিত হচ্ছে যে, যা আমি বলছিলাম তা কিন্তু সত্য হচ্ছে আস্তে আস্তে।” তিনি সতর্ক করে বলেন, নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে ঐক্যবদ্ধ না হলে দেশ বড় বিপদের মুখে পড়তে পারে।
দেশকে অতীতেও ধ্বংসের হাত থেকে বিএনপি উদ্ধার করেছে দাবি করে তারেক রহমান বলেন, “প্রত্যেকবার এই দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়েছে। কখনো শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে, কখনো দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, আপনারা এই দেশকে খাদের কিনারা থেকে আবার ফিরিয়ে এনেছেন।”
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী এই ষড়যন্ত্র এখানেই থেমে থাকবে না, পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। তবে ভয় বা আতঙ্কে না ভেঙে জনগণকে সাহস দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। তার ভাষায়, “আমাদের ভয় পেলে চলবে না, আতঙ্কগ্রস্ত হলে চলবে না। আমাদের মানুষকে সাহস দিতে হবে, নিজেদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে এবং দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।”
নির্বাচন বানচালের চেষ্টা ব্যর্থ করতে ঐক্যই সবচেয়ে বড় শক্তি উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিএনপি যত বেশি ঐক্যবদ্ধ হবে এবং জনগণকে সামনে আনবে, ষড়যন্ত্রকারীরা ততই পিছু হটতে বাধ্য হবে। তিনি দাবি করেন, ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার শক্তি ও সক্ষমতা একমাত্র বিএনপিরই রয়েছে।
চট্টগ্রাম ও ঢাকায় দুই প্রার্থীর ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, এসব ঘটনার মাধ্যমে কেউ কেউ রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। তবে জনগণের ঐক্য ও সচেতনতার মাধ্যমেই এই অপচেষ্টা রুখে দেওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।