কম্বোডিয়ার সামরিক অবকাঠামোতে বিমান হামলা চালানোর পর থাইল্যান্ড স্পষ্ট করে জানিয়েছে, দেশটির সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি হুমকি দূর না হওয়া পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় লড়াই অব্যাহত থাকবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বিভাগের মহাপরিচালক নিকোরন্দেজ বালানকুরা বলেন,
“যতক্ষণ পর্যন্ত থাইল্যান্ডের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার জন্য হুমকি রয়ে যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত লড়াই চলতে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “কম্বোডিয়া তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে শান্তির পথে না আসা পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি পরিচালনাসহ থাইল্যান্ডের অবস্থান অপরিবর্তিত থাকবে। কম্বোডিয়াই যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং অক্টোবরে স্বাক্ষরিত যৌথ ঘোষণা লঙ্ঘন করেছে।”
থাই কর্মকর্তা জানান, দেশটির সামরিক অভিযানগুলো শুধুমাত্র আত্মরক্ষামূলক এবং যুদ্ধের স্বীকৃত নিয়ম মেনে পরিচালিত হয়। তিনি বলেন, “বিমান বাহিনীর সব অভিযান সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে এবং সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে যাতে কোনো বেসামরিক নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।”
এর আগে ভোরে থাই সামরিক বাহিনী অভিযোগ করে, স্থানীয় সময় সকাল ৫টা থেকে কম্বোডিয়ান বাহিনী থাইল্যান্ডের সীমান্ত অবস্থানগুলোতে গোলাবর্ষণ শুরু করে। এর জবাবে থাই বিমান বাহিনী কম্বোডিয়ার সামরিক অবকাঠামোতে বিমান হামলা পরিচালনা করে।
থাই স্থলবাহিনী আরও জানায়, কম্বোডিয়া ‘বিএম-১২ মাল্টিপল রকেট লঞ্চার’ থেকে থাই ভূখণ্ডে গোলা নিক্ষেপ করেছে। এই ঘটনার পর সীমান্ত এলাকায় দুই দেশের উত্তেজনা প্রকট আকার ধারণ করেছে।
বিশ্ব রাজনৈতিক অঙ্গনে এই সংঘাত নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং পরিস্থিতির আরও অবনতি আশঙ্কা করা হচ্ছে যদি দুই দেশ দ্রুত আলোচনায় না বসে।