ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসে আবারও চুরির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার গভীর রাতে অজ্ঞাত চোরেরা অফিস সহকারী তপন কুমার রায়–এর কক্ষে পিছনের জানালা ভেঙে ঢুকে প্রায় ৩ লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এ সময় তারা অফিসের একটি সিসি ক্যামেরাও ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত করে। পরদিন বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় অফিসের প্রোসেস সার্ভার ইমদাদুল হক কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, ১৯ নভেম্বর বিকাল ৫টার দিকে অফিস বন্ধ করে সবাই চলে যান। পরদিন সকালে অফিসে এসে দেখা যায় তপন কুমারের কক্ষটি ভিতর থেকে লক করা অবস্থায় আছে। অনেক চেষ্টা করেও দরজা খোলা যাচ্ছিল না। অফিসের পেছন দিকে গিয়ে দেখা যায় জানালা ভাঙা। পরে ভূমি অফিসারকে বিষয়টি জানানো হলে দরজা খুলে দেখা যায় আলমারির ড্রয়ার ভেঙে টাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঘটনার দিন দায়িত্বে থাকা নাইটগার্ড আরজু আহম্মেদ জানান, তিনি কিডনি রোগী এবং ওষুধ সেবনের কারণে গভীর রাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। রাত ২টার পর তিনি ঘুমিয়ে যান। সকালে অফিস খুলতে এসে রুমের তালা না খোলায় তারা চুরির বিষয়টি বুঝতে পারেন।
অফিস সহকারী তপন কুমার রায় বলেন, প্রতিদিনের মতোই তিনি অফিস বন্ধ করে বেরিয়ে যান। কিন্তু সকালে এসে রুমের দরজা ভিতর থেকে লক দেখতে পান। পেছনের দিক ঘুরে দেখেন জানালা ভাঙা এবং কক্ষে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর জিডি হয়েছে এবং পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। খুব দ্রুতই চুরির বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহিন আলম বলেন, ঘটনা জানার পরই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। পাশাপাশি অফিস সহকারী তপন কুমার রায়, নাইটগার্ড শহিদুজ্জামান এবং আরজু আহম্মেদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং তদন্ত অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও এই অফিসে ড্রয়ার ভেঙে ১ লাখ টাকা, জানালা ভেঙে ৮০ হাজার টাকা এবং একটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছিল। তবে তখন দায়িত্বে থাকা ভূমি কর্মকর্তারা কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেননি বলে জানা গেছে। পুনরায় এ ধরনের চুরির ঘটনা প্রশাসনিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।