পিরোজপুর শহরের কাপুড়িয়া পট্টি এলাকায় চাইনিজ পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান টিয়েন্স অবৈধভাবে ভেষজ ওষুধ ও অনুমোদনবিহীন পণ্য বিক্রি এবং চিকিৎসা সনদ ছাড়া চিকিৎসা সেবা দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৫ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আল আমিন এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ৪ জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা এবং অপর একজনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—ওসমান গনি (৩০), সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বাবুর আলী মোড়লের ছেলে; রুমান হোসেন (২১), খুলনার নিরালা এলাকার বাবুল হোসেনের ছেলে; ওয়ালিদ (২৩), খুলনার দাকোপের আলী হাসানের ছেলে; ওয়াহিদুল ইসলাম (৪২), পিরোজপুরের পাড়েরহাট এলাকার নবাব চাঁন হাওলাদারের ছেলে এবং ফারুখ শেখ (৬৭), পিরোজপুরের কুমারখালী এলাকার আ. লতিফ শেখের ছেলে।
ডিবি পুলিশের এএসআই মো. খায়রুল হাসান জানান, শহরের কাপুড়িয়া পট্টিতে ব্র্যাক ব্যাংকের পঞ্চম তলায় টিয়েন্সের অফিসে অভিযান চালানো হয়। এ সময় একজন ফিজিওথেরাপিস্ট পরিচয়ে রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন। প্রতিষ্ঠানটি গত ৩-৪ মাস ধরে টিম ওয়াকিং সিস্টেমের মাধ্যমে ডাইরেক্ট সেলিং মার্কেটিং চালিয়ে আসছিল। তারা বিভিন্ন প্রডাক্ট এজেন্টদের মাধ্যমে সরবরাহ করে সাধারণ রোগীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।
সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আল আমিন বলেন, “অবৈধভাবে ভেষজ ওষুধ ও অনুমোদনহীন পণ্য বিক্রি এবং চিকিৎসা সনদ ছাড়া চিকিৎসা প্রদানের অপরাধে ৫ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে।”
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশাসন জানিয়েছে, অনুমোদনহীন চিকিৎসা ও অবৈধ ওষুধ ব্যবসার বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলবে।