যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের গাজা উপত্যকা দখলের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। কাতারের রাজধানী দোহায় ১৫ মে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, গাজা যদি যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে আসে, তাহলে তা ‘ফ্রিডম জোনে’ পরিণত করা হবে, যেখানে মানুষ নিরাপদে বাস করতে পারবে।
ট্রাম্প বলেন, “গাজার জন্য আমার পরিকল্পনা আছে। যুক্তরাষ্ট্র যদি গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয়, তাহলে এটি হবে একটি ফ্রিডম জোন। মানুষকে নিরাপদ বাসস্থানে রাখা হবে।” তবে তিনি স্বীকার করেন, গাজার নিয়ন্ত্রণ নিতে হলে প্রথমে হামাসকে মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ‘আল-আকসা ফ্লাড’ অপারেশনকে “মানব ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস হামলা” বলে উল্লেখ করেন।
এদিকে ১৫ মে মধ্যরাতে গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ১১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অধিকাংশ হতাহত দক্ষিণের খান ইউনিস শহরের। মৃতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।
হামাসের সিভিল ডিফেন্স মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, শুধুমাত্র খান ইউনিস থেকে ৫৬টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই হামলায় সামুর পরিবারের ১৩ সদস্য নিহত হয়েছে, যাদের নাম নাগরিক নিবন্ধন থেকে মুছে ফেলা হয়েছে।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলে হামলার পাশাপাশি উত্তরের ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়, আল-শিফা হাসপাতাল এবং কয়েকটি স্কুল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। জাতিসংঘ জানায়, এই এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় বহু হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে।
ইসরায়েলকে ‘গণহত্যাকারী রাষ্ট্র’ বলে আখ্যা দিয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। তিনি বলেন, “আমরা আর এই রাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখছি না।” তার এই বক্তব্যে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্পেনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কড়া বার্তা দিয়েছে।
গাজার মানবিক সংকট দিনে দিনে ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। একদিকে ট্রাম্প গাজা দখলের পরিকল্পনা করছেন, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মহল বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।