ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সাম্প্রতিক সশস্ত্র সংঘাত বন্ধে ‘ঐতিহাসিক ভূমিকা’ রাখায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান বাডি কার্টার।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পলিটিকস জানায়, বাডি কার্টার নোবেল কমিটিকে এক চিঠিতে লিখেছেন, “ট্রাম্পের সাহসী ও সিদ্ধান্তমূলক নেতৃত্ব ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, যা অনেকেই অসম্ভব বলে মনে করেছিল।”
গত ১৩ জুন ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ইসরায়েল হামলা চালানোর পর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়। পাল্টাপাল্টি হামলায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরো মধ্যপ্রাচ্য। ট্রাম্প তখন ইরানকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে কূটনৈতিক চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু ইরান তাতে সাড়া না দিয়ে ইসরায়েলে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
এক সপ্তাহ পর ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র বোমারু বিমান দিয়ে হামলা চালায়। ইরান পাল্টা জবাবে কাতারসহ বিভিন্ন মার্কিন ঘাঁটিতে রকেট হামলা চালায়। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ২৩ জুন ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ১২ দিনের যুদ্ধ শেষ হয়েছে, এবং দুই দেশকে শান্তির পথে হাঁটার আহ্বান জানান। এর পরদিন থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
চিঠিতে কার্টার বলেন, “ট্রাম্প শুধু যুদ্ধ থামাননি, তিনি ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা রোধেও কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন।” তার মতে, “শান্তির জন্য সাহসী নেতৃত্ব, রাজনৈতিক স্পষ্টতা এবং কৌশলী হস্তক্ষেপ নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্যতা রাখে।”
এর আগেও ট্রাম্পকে পাকিস্তান সরকার ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করেছিল, ভারত-পাকিস্তান সংকটে “কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ ও নেতৃত্ব” প্রদানের স্বীকৃতিস্বরূপ।