“এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫। উৎসবের অংশ হিসেবে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে দিঘলিয়া ওয়াই এম এ খেলার মাঠে অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টুর্নামেন্টের শুভ সূচনা করেন দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ হারুন অর রশিদ। এ সময় তিনি বলেন, খেলাধুলা যুব সমাজকে মাদক ও অপরাধ থেকে দূরে রেখে সুস্থ, মানবিক ও শৃঙ্খলাবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তরুণদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য নিয়মিত খেলাধুলার আয়োজন অপরিহার্য। এ ধরনের আয়োজন সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমাতেও কার্যকর ভূমিকা রাখে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোনায়েম খান, সহকারী প্রোগ্রামার পুষ্পেন্দু দাস, সরকারি যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম, দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হায়দার আলী মোড়ল, দিঘলিয়া এম এ মজিদ মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজাউল ইসলাম এবং দিঘলিয়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ওয়াহিদ মুরাদসহ উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এই টুর্নামেন্টে দিঘলিয়া উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ছয়টি অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল দল অংশগ্রহণ করছে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে লটারির মাধ্যমে সেনহাটি ইউনিয়ন একাদশ ও আড়ংঘাটা ইউনিয়ন একাদশ ওয়াকওভার পেয়ে সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। উদ্বোধনী দিনে বাকি চার দলের মধ্যে দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এসব ম্যাচে দিঘলিয়া ইউনিয়ন একাদশ ও গাজিরহাট ইউনিয়ন একাদশ নিজ নিজ খেলায় বিজয়ী হয়ে সেমিফাইনালে উত্তীর্ণ হয়।
খেলা পরিচালনায় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন মোঃ তকদির হোসেন, নাজমুল হোসেন, রুমেল বায়জিদ, রমজান হোসেন ও জাবেদ ওমর ববি। খেলায় ধারাভাষ্য প্রদান করেন দিঘলিয়া এম এ মজিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মেহেদী হাসান।
আগামীকাল ওয়াকওভারপ্রাপ্ত দুই দল এবং আজকের বিজয়ী দুই দল—এই চার দলের মধ্যে সেমিফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সেমিফাইনালে বিজয়ী দুই দলকে নিয়ে পরবর্তীতে টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
দিঘলিয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এই খেলা উপভোগ করতে মাঠজুড়ে ক্রীড়ামোদী দর্শকদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। দর্শকদের উৎসাহ ও উপস্থিতিতে মাঠের চারপাশ ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। আয়োজক কমিটি আগামীকালের সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ উপভোগ করার জন্য ক্রীড়ামোদী দর্শকসহ সর্বস্তরের মানুষকে সাদর আমন্ত্রণ জানিয়েছে।