পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বী একটি পরিবার ইসলামের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ২০২৫ সালের ১৮ জুন, তারা স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে কালিমা পাঠ করে মুসলমান হন।
ইসলাম গ্রহণকারী এই পরিবারের সদস্যরা হলেন, অনিল দত্ত, পিতা- নরেন্দ্রনাথ দত্ত। ইসলাম গ্রহণের পর তার নতুন নাম আব্দুর রহমান। অনিমা দত্ত, স্ত্রী- অনিল দত্ত, মাতা- শোভা রানী। বর্তমানে তার নাম ফাতিমা। তাদের বড় ছেলে উত্তম কুমার, পিতা- অনিল দত্ত, মাতা- অনিমা। বর্তমানে নাম নুর-নবী। এই পরিবারের সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন ছোট ছেলে গৌতম দত্ত, যার বর্তমান নাম নূর-মোহাম্মদ। তিনি ২০২২ সালেই ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন।
নও-মুসলিম নূর-মোহাম্মদ বলেন, "শৈশব থেকেই মুসলিম বন্ধুদের সংস্পর্শে বড় হওয়ার কারণে ইসলামের প্রতি ভালোবাসা জন্মায়। ইসলাম ধর্মের আদর্শ ও শিষ্টাচার আমাকে এবং আমার পরিবারকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। আমি নিয়মিত ওয়াজ মাহফিল, ইসলামী সংগীত ও গজল শুনতাম। অবশেষে ২০২২ সালে আমি ইসলাম গ্রহণ করি এবং পরবর্তীতে আমার পরিবারের সদস্যদেরও উৎসাহ দেই।" তিনি আরও জানান, বর্তমানে তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়সহ ইসলামের সব রীতি মেনে চলছেন।
পিরোজপুরের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে, তারা আইনগতভাবে হলফনামার মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় আইনজীবী রফিকুল ইসলাম।
ধর্মীয় স্বাধীনতা বাংলাদেশের সংবিধানে স্বীকৃত। নিজের বিশ্বাস ও নৈতিক আদর্শ অনুসারে ধর্ম গ্রহণের অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে। ভান্ডারিয়ার এই পরিবারের ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘটনা ইসলামের প্রতি মানুষের গভীর আগ্রহ এবং আত্মিক আকর্ষণেরই প্রতিচ্ছবি।