ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, "বিএনপির দেওয়া আশীর্বাদের চিঠি এখন আমাদের জন্য অভিশাপে পরিণত হয়েছে।" গলাচিপা ও দশমিনায় গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর একের পর এক হামলার জন্য তিনি এই চিঠিকে দায়ী করেন।
১৩ জুন (শুক্রবার) বিকেলে গলাচিপা উপজেলা রেস্ট হাউজের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নুর বলেন, “গতকাল গলাচিপা ও দশমিনার বিভিন্ন এলাকায় আমাদের অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। চরবিশ্বাস, পাতাবুনিয়া, কালারাজা সহ বেশ কিছু এলাকায় নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়েছে।”
তিনি দাবি করেন, “ইতোমধ্যে ১২০ জন আহত, ১৭টি অফিস ভাঙচুর, ২টি মোটরসাইকেলে আগুন এবং আরও অনেক মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
নুরের অভিযোগ, এই পরিস্থিতির সূচনা হয় ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে। সেই চিঠিতে নুরুল হক নুরকে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে সংগঠন চালানোর সহযোগিতা করতে স্থানীয় বিএনপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই সহযোগিতা এখন হামলা, ভাঙচুর ও দমনপীড়নে রূপ নিয়েছে বলে দাবি করেন নুর।
নুর বিএনপির উদ্দেশে বলেন, “আপনারা একটি বড় দল। আপনাদের কাছ থেকে দেশবাসী দায়িত্বশীল আচরণ আশা করে। আমরা বলেছি, নেতাকর্মীরা যেন প্রতিটি ঘটনার তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে মামলা করেন এবং প্রশাসনের সহযোগিতা নেন।” তিনি বলেন, “বিএনপির নেতৃত্বের সাড়া দেখেই আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ঠিক করবো।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব শাহ আলম সিকদার, উপজেলা সভাপতি হাফিজুর রহমান, উপজেলা সদস্য সচিব জাকির হোসেন মুন্সী, এবং কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা।