গজারিয়া উপজেলার নারী উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ ভাতার চেক আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে লিপি আক্তার নামে এক নারীর বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী পরিবারের সদস্যরা এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, লিপি আক্তার, ভবেরচর ইউনিয়নের কালীতলা ব্রিজ সংলগ্ন মাসুদ মিয়ার স্ত্রী, জাতীয় মহিলা সংস্থা থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ও ক্যাটারিং বিভাগে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।
গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) গজারিয়া উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধনে তৃণমূল পর্যায়ের উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ ভাতার চেক বিতরণ করা হয়। এতে প্রায় ৩০০ প্রশিক্ষণার্থী উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় মহিলা সংস্থা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিউটিফিকেশন, ক্যাটারিং, ফ্যাশন ডিজাইন, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ও ই-কমার্স ট্রেডের প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ৩০ লাখ টাকার চেক বিতরণ করে। এই চেকের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীরা ৬ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা করে সম্মানী পেতেন।
তবে ভুক্তভোগী প্রশিক্ষণার্থীরা অভিযোগ করেন, লিপি আক্তার তাদের কাছ থেকে ভাতার চেক নিয়ে নেন। লিপি দাবী করেন, “তোমরা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেননি, এ থেকে দুই থেকে তিন হাজার টাকা পাব, বাকি টাকা অফিসের লোকজনকে দিতে হবে, নাহলে টাকা ফেরত দিতে হবে।” এ কথা শুনে প্রশিক্ষণার্থীরা তাদের চেক লিপির কাছে তুলে দেন। এরপর নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরও টাকা ফেরত না পাওয়ায় অনিয়মের বিষয়টি প্রকাশ পায়।
লিপি আক্তার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “আমি চেক নিয়েছি, এটি সঠিক হয়নি, আমি প্রত্যেকের চেক ফেরত দেব।”
এ বিষয়ে জাতীয় মহিলা সংস্থা গজারিয়া শাখার কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম জানান, “যদি কেউ আমার অফিসের ভাতার চেকের অনিয়মের সাথে জড়িত থাকে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার জানান, “বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি, জাতীয় মহিলা সংস্থার কর্মকর্তার মাধ্যমে এই অনিয়মের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”