সম্প্রতি বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটার পর, সরকারের পক্ষ থেকে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া এই নির্দেশনা সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার কাছে।
১. নিরাপত্তা টহল বৃদ্ধি: দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের টহল আরও শক্তিশালী করা হবে। সন্দেহজনক কিছু দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে নিরাপত্তা কর্মীদের অবগত করা হবে।
২. বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা: অফিস প্রধানদের নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে যে, অফিস ত্যাগের আগে সব বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ রাখতে হবে, যাতে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি কমে।
৩. নৈশপ্রহরীর টহল: কর্মরত নৈশপ্রহরীদের ভবন এবং এর আশপাশে সার্বক্ষণিক টহলে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৪. নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা: অফিসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
৫. গাফিলতির দায়: যদি কোনও কর্মকর্তা বা কর্মচারীর গাফিলতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটে, তবে তা ব্যক্তিগত দায় হিসেবে বিবেচিত হবে।
গত ২৫ ডিসেম্বর রাতে বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, যেখানে ভবনের চারটি তলা পুড়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডের কারণ ছিল বৈদ্যুতিক ‘লুজ কানেকশন’। আগুনের এ ঘটনা পুরো প্রশাসনিক এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়, যার ফলে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়।
এই নির্দেশনাগুলি সারা দেশে সরকারী অফিসে নিরাপত্তা জোরদার করার এবং ভবিষ্যতে এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।