চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহকর্মী পিংকি আক্তার রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
ভাটারা থানার ওসি মো. মাজহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, “চিত্রনায়িকা পরীমণির বাসার গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
পিংকি আক্তার জানান, এক মাস আগে কাদের নামের একজনের মাধ্যমে পরীমণির বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসায় কাজ পান তিনি। তাঁর প্রধান দায়িত্ব ছিল পরীমণির এক বছরের কন্যাসন্তানকে নিয়মিত খাবার খাওয়ানো ও দেখভাল করা। তবে বাস্তবে বাসার অন্যান্য কাজেও তাঁকে যুক্ত করা হতো।
গত ২ এপ্রিল, বিকেলে বাচ্চাকে বসিয়ে বাজারের তালিকা প্রস্তুত করছিলেন পিংকি। এ সময় শিশু কান্না শুরু করলে সৌরভ নামে এক ব্যক্তি—যিনি পরীমণির ঘনিষ্ঠ—বাচ্চাকে সলিড খাবার দেওয়ার পরামর্শ দেন। পিংকি জানান, বাচ্চা কিছুক্ষণ আগেই সলিড খাবার খেয়েছিল, তাই তিনি দুধ দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তখনই পরীমণি রুম থেকে বের হয়ে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং বারবার চড়-থাপ্পড় মারেন।
পিংকির ভাষ্যমতে, “তিনি আমাকে ক্রমাগত মাথায় আঘাত করছিলেন, আমি তিনবার ফ্লোরে পড়ে যাই। এমনকি বাম চোখে এমনভাবে আঘাত করেন যে এখনো দেখতে পাচ্ছি না ঠিকভাবে।”
পিংকি বলেন, একপর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফেরার পর বাসার অন্য গৃহকর্মী বৃষ্টির সহায়তা চাইলেও, পরীমণিকে ‘ঘুম ভাঙবে’ এই আশঙ্কায় তাঁরা কোনো সহায়তা করেননি। পরে ৯৯৯-এ ফোন করে তিনি পুলিশের সহায়তা চান এবং রিকশাযোগে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
তিনি জানান, “আমি এখনো অসুস্থ। প্রাথমিকভাবে থানায় জিডি করেছি, তবে ভবিষ্যতে আইনি ব্যবস্থা নেব।”
বর্তমানে ভাটারা থানা বিষয়টি তদন্ত করছে। গৃহকর্মী পিংকি আক্তার পরীমণির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন।