মুন্সীগঞ্জের সীমানাধীন চর বাংলাবাজার নাছিরার চর পদ্মা নদীতে বালু উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্বে কিবরিয়া বাহিনীর সদস্যদ ও নৌ পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও একজন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মুন্সীগঞ্জ ও মোহনপুর সীমানাধীন চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চর পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কিবরিয়া মিজি ও তার লোকজন মুন্সীগঞ্জ-মোহনপুর সীমানাধীন চর বাংলাবাজার নাছিরার চর পদ্মা নদীতে চাঁদপুর নৌ পুলিশের সহযোগিতায় ২৫ থেকে ২৬টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। এ নিয়ে স্থানীয়রা একাধিকবার বারণ করে কোনো প্রতিকার পায়নি। সন্ধ্যার দিকে স্থানীয়রা মিলে কিবরিয় মিজির অবৈধ বালু মহালের সাথেই ড্রেজার বসাতে গেলে কিবরিয়া মিজির লোক সশস্ত্র সদস্য জনি, জসিম দেওয়ান মিছির বেপারী ও মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা মিলে তাদের দাওয়া করে গুলি শুরু করে। এতে ট্রলার ও স্পিডবোটে থাকা রিফাত ও রাসেল ও স্পিডবোট চালক আইয়ুব আলী গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে রিফাত ও রাসেলের মৃত্যু হয়।
এদিকে গুরুতর আহত আইয়ুব আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নিহত রিফাত (২৬) মতলব উত্তরের বাসিন্দা ও রাসেল ফকির (২৮) মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ভাসানচন গ্রামের আলম ফকিরের ছেলে। গুরুতর আহত আইয়ুব আলী (৩৫) মাদারীপুর জেলার শিবচর এলাকার মান্নান হাওলাদার ছেলে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, রাত ৮টার দিকেই তিনজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অবস্থায় আসে। এর মধ্যে দুইজন নিহত হয়েছে ও অপর একজন গুলিবিদ্ধকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন জানান,মেঘনা নদীতে গুলিতে আহত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন মারা গেছে। একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা যেটা জানতে পেরেছি। মেঘনা নদীর মোহনপুর নৌ এলাকায় নদীতে দুটি গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি ঘটনা ঘটে। আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার কারণটি এখন আমরা সুস্পষ্ট ভাবে জানতে পারিনি। এখন পর্যন্ত নিহত একজনের পরিচয় পেয়েছি আর বাকি একজনের পরিচয় এখনো পায়নি। আমরা তার পরিচয় জানার চেষ্টা করছি