দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) দীর্ঘ ২ বছর ৪ মাস ধরে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেজারারের পদটি শূন্য রয়েছে। সর্বশেষ প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই চার বছরের জন্য ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তার মেয়াদ শেষ হয় ২০২২ সালের ৩০ জুলাই। এরপর থেকে এ পদে আর কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
হাবিপ্রবি আইন-২০০১-এর ১৩(১) ধারায় বলা হয়েছে, “চ্যান্সেলর নির্ধারিত শর্তে চার বছরের জন্য একজন কোষাধ্যক্ষ (ট্রেজারার) নিয়োগ করবেন, যিনি অবৈতনিক কর্মকর্তা হবেন।” একই আইনের ১৩(২) ধারায় বলা হয়েছে, “কোনো কারণে কোষাধ্যক্ষের পদ শূন্য হলে রিজেন্ট বোর্ড বিষয়টি অবিলম্বে চ্যান্সেলরকে অবহিত করবে এবং চ্যান্সেলর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।”
ট্রেজারারের দায়িত্ব সম্পর্কে আইনের আরও উল্লেখ রয়েছে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল পরিচালনা, সার্বিক অর্থব্যবস্থার তত্ত্বাবধান, এবং অর্থনৈতিক নীতিমালা নিয়ে ভাইস-চ্যান্সেলর ও রিজেন্ট বোর্ডকে পরামর্শ দেবেন। পাশাপাশি, বার্ষিক বাজেট ও হিসাব বিবরণী উপস্থাপন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি ও বিনিয়োগ পরিচালনার দায়িত্বও তার ওপর ন্যস্ত থাকবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক স্বচ্ছতা ও কার্যক্রম নিশ্চিত করতে একজন ট্রেজারার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দীর্ঘদিন ধরে পদটি শূন্য থাকায় আমরা মনে করি, প্রশাসনিক কার্যক্রমে কিছুটা জটিলতা তৈরি হচ্ছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেজারার নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা আমার বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কারো নেই। এটি সরাসরি সরকারের বিষয়।”
কবে নাগাদ ট্রেজারার নিয়োগ হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।”
দীর্ঘদিন ধরে ট্রেজারারের পদ শূন্য থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।