বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থাকে আরও উন্নত ও কার্যকর করতে ট্র্যাক সংস্কার এবং ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ রেললাইনের সমান্তরালে একটি ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণের পৃথক দুটি প্রকল্পের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এসব প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২১ কোটি ৬৮ লাখ ৪৪ হাজার ৩৬৯ টাকা।
২০২২ সালের বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সিলেট থেকে ছাতকবাজার পর্যন্ত ৩৪ কিলোমিটার রেলপথ পুনর্বাসনের জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। এই প্রকল্পে ট্র্যাক পুনর্নির্মাণ ও রেল চলাচল উপযোগী করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১৭ কোটি ৩৪ লাখ ৪ হাজার ৩৬৯ টাকা। মীর আখতার হোসেন লিমিটেড, ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত, ৮০ শতাংশ ইউএস ডলার এবং ২০ শতাংশ বাংলাদেশি টাকায় পরিশোধ করা হবে।
২০২২ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এই রেলপথের এমব্যাংকমেন্ট ও রেলপথ পুনর্গঠনের মাধ্যমে এটি পুনরায় ট্রেন চলাচলের উপযোগী করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ রেললাইনের পাশে একটি ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণের প্রকল্পও অনুমোদিত হয়েছে। জিপিটি এবং স্ট্যান্ডার্ড, ২৯৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আহ্বান করা দরপত্রে পাঁচটি প্রস্তাব জমা পড়ে। টেকনিক্যালি যাচাই-বাছাইয়ের পর সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছে।
সরকারের এই প্রকল্পগুলো দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত ও স্থিতিশীল করবে। বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলে রেল চলাচলের পুনরুদ্ধার এবং ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সেকশনে ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণের মাধ্যমে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন আরও দ্রুত ও নিরাপদ হবে।
এই প্রকল্পগুলো রেলওয়ের আধুনিকায়নে বড় ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি, রেলপথ পুনর্বাসনের মাধ্যমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর অর্থনৈতিক গতিশীলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।