দেশে নভেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশে, যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। অক্টোবরে এই হার ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, খাদ্য মূল্যস্ফীতি এবং খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি উভয় ক্ষেত্রেই বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিবিএসের তথ্য বলছে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি অক্টোবরে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ থেকে নভেম্বরে বেড়ে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশে পৌঁছেছে। অন্যদিকে, খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ থেকে সামান্য বেড়ে ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
নভেম্বরে গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশে পৌঁছেছে, যা অক্টোবরে ছিল ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ। গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি এই সময়ে ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশে পৌঁছেছে। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের ক্ষেত্রে গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি অপরিবর্তিত থেকে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশে ছিল।
শহরাঞ্চলেও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। অক্টোবরে শহরাঞ্চলের মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ, যা নভেম্বরে বেড়ে ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। শহরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৫৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ হয়েছে, যা খাদ্য পণ্যের ক্রমবর্ধমান মূল্যের ইঙ্গিত দেয়।
বিবিএস জানিয়েছে, নভেম্বরে মজুরি হার সূচক ৮ দশমিক ১০ শতাংশে পৌঁছেছে, যা অক্টোবরে ছিল ৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। মজুরি হার কিছুটা বাড়লেও তা মূল্যস্ফীতির তুলনায় এখনও অনেক পিছিয়ে রয়েছে, ফলে ক্রয়ক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, খাদ্যদ্রব্যের উচ্চ মূল্যস্ফীতি মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করছে। তারা এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত নীতি উদ্যোগ এবং বাজার স্থিতিশীল করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মূল্যস্ফীতির এই ঊর্ধ্বগতি গ্রামীণ ও শহুরে উভয় এলাকার জনগণের জন্যই উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রমবর্ধমান মূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা এখন সময়ের দাবি।