চ্যাম্পিয়নস লিগে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো শুধু একটি নাম নয়, বরং এক অবিসংবাদিত অধ্যায়। ইউরোপীয় ফুটবলে প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তাঁর দাপুটে পারফরম্যান্সে তিনি এই প্রতিযোগিতার ‘রাজা’ হয়ে উঠেছেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে জিতেছেন ৫টি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা, আর ব্যক্তিগত রেকর্ডে যোগ করেছেন অসংখ্য মাইলফলক। তাঁর ১৪০ গোলের অনন্য রেকর্ড এখনো অক্ষুণ্ন, যা ফুটবলবিশ্বে এক বিশাল মাইলফলক হিসেবে গন্য হয়।
চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড রোনালদোর দখলে। তিনি ১৮০ ম্যাচে করেছেন ১৪০ গোল। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি, যিনি ১৬৩ ম্যাচে করেছেন ১২৯ গোল। রোনালদো ও মেসি দুজনেই এখন ইউরোপের বাইরে খেলছেন, ফলে তাঁদের এই মঞ্চে ফেরা আর সম্ভাবনার মধ্যেও নেই।
বর্তমান প্রজন্মের খেলোয়াড়দের মধ্যে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও আর্লিং হলান্ডকে রোনালদোর রেকর্ড ভাঙার যোগ্য দাবিদার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে এই চ্যালেঞ্জ জয়ের জন্য তাঁদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে।
ফ্রান্সের এই তারকা এখন পর্যন্ত ৮০ ম্যাচে করেছেন ৫১ গোল। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে তাঁর পারফরম্যান্স ক্রমশ উন্নত হচ্ছে। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, জুড বেলিংহাম এবং রদ্রিগোর মতো প্লেমেকাররা এমবাপ্পেকে বলের জোগান দিয়ে সাহায্য করছেন। এই সমর্থন ও নিজের ফিটনেস ধরে রাখতে পারলে আগামী ৮–১০ বছরে রোনালদোর রেকর্ড ভাঙার জন্য প্রস্তুত হতে পারেন এমবাপ্পে।
মাত্র ৪৬ ম্যাচে ৪৯ গোল করে ইতিমধ্যেই হলান্ড নিজের কার্যকারিতা প্রমাণ করেছেন। প্রতি ৯০ মিনিটে গোল করার ক্ষেত্রে তাঁর ধারাবাহিকতা ঈর্ষণীয়। তবে তাঁর বড় চ্যালেঞ্জ হলো ফিটনেস ও ধারাবাহিকতা। মাঝেমধ্যেই চোটে পড়ার প্রবণতা এবং যোগ্য প্লেমেকারের অভাব হলে তিনি গোল করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন।
ক্রম | খেলোয়াড় | ম্যাচ | গোল |
---|---|---|---|
১ | রোনালদো | ১৮০ | ১৪০ |
৯ | এমবাপ্পে | ৮০ | ৫১ |
১৪ | হলান্ড | ৪৬ | ৪৯ |
রোনালদোর ১৪০ গোলের রেকর্ড ভাঙা সহজ নয়। এর জন্য প্রয়োজন দীর্ঘ সময় ধরে ফিটনেস বজায় রাখা, ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করা এবং যোগ্য সতীর্থদের সহযোগিতা। এমবাপ্পে ও হলান্ডের পারফরম্যান্স তাঁদেরকে এই রেকর্ডের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গড়ে তুলেছে। তবে সময়ই বলে দেবে, তাঁদের মধ্যে কেউ কি পারবে রোনালদোর এই অতুলনীয় মাইলফলককে ছুঁতে!