ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, এই হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে পাঁচজন শিশু ও দুইজন নারী রয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৯৮ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, লোহিত সাগরে মার্কিন জাহাজে হুথিদের হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই বিমান হামলা চালানো হয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ জানিয়েছেন, হুথিদের হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র অভিযান চালিয়ে যাবে।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজ বলেছেন, শনিবারের হামলার লক্ষ্য ছিল একাধিক হুথি নেতা। যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার মাধ্যমে ইরানকে শক্ত বার্তা দিতে চায় যে, তারা আর সহ্য করবে না।
হুথি নেতা আব্দুল মালিক আল হুথি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যতদিন যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে হামলা চালাবে, ততদিন তাদের বাহিনী লোহিত সাগরে মার্কিন জাহাজগুলোকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হুথিরা জানিয়েছে, রোববার রাতে বন্দরনগরী হুদাইদায় নতুন করে মার্কিন বিমান হামলা চালানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইয়েমেনে সব ধরনের সামরিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ও বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি যুক্তরাষ্ট্রের নীতির কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, “ইসরায়েলি গণহত্যা ও সন্ত্রাসবাদে সমর্থন বন্ধ করুন, ইয়েমেনি জনগণের হত্যা বন্ধ করুন।”
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুথিদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে লিখেছেন, “যদি তারা না থামে, তবে তাদের ওপর ‘নরকের বৃষ্টি’ নেমে আসবে, যা তারা আগে কখনো দেখেনি।”
এদিকে, বিশ্লেষকদের মতে, ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ও হুথিদের প্রতিরোধের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত আরও বাড়তে পারে।