ঈদ উপলক্ষে রাজধানী থেকে প্রতি বছর এক কোটিরও বেশি মানুষ বাড়ি ফেরেন, অন্যদিকে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ ঢাকায় প্রবেশ করেন। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে।
ঈদযাত্রা সহজ করতে ২৫ মার্চ থেকে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত কিছু সড়কে যাত্রীবাহী যানবাহন ছাড়া অন্য যানবাহন না চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ সড়কগুলো হলো—
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক (এয়ারপোর্ট টু আব্দুল্লাহপুর)
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক (যাত্রাবাড়ী টু সাইনবোর্ড)
পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট সড়ক)
ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক (শ্যামলী টু গাবতলী)
ঢাকা-কেরানীগঞ্জ সড়ক (ফুলবাড়িয়া টু বাবুবাজার ব্রিজ)
ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক (যাত্রাবাড়ী টু বুড়িগঙ্গা ব্রিজ)
মোহাম্মদপুর বসিলা ব্রিজ সংযোগ সড়ক
আব্দুল্লাহপুর-ধউর ব্রিজ সড়ক
মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৫ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ এবং ঈদের পরবর্তী তিন দিন মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, পচনশীল পণ্য, গার্মেন্টস সামগ্রী, ওষুধ, সার ও জ্বালানি বহনকারী যানবাহন এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।
ঈদযাত্রার চাপ কমাতে আব্দুল্লাহপুর থেকে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটি একমুখী করা হয়েছে, যেখানে শুধু ঢাকা থেকে বাহিরমুখী যান চলাচল করবে।
এছাড়া, ঢাকা-আশুলিয়া মহাসড়কের আশুলিয়া-ধউর-কামারপাড়া-আব্দুল্লাহপুর হয়ে ঢাকায় প্রবেশের পরিবর্তে আশুলিয়া-ধউর-পঞ্চবটি হয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ সড়ক দিয়ে গাবতলী/অন্য এলাকায় প্রবেশ করতে বলা হয়েছে।
বিআরটি লেন (এয়ারপোর্ট টু গাজীপুর) শুধুমাত্র ঢাকা ছাড়ার জন্য (বাহিরমুখী) উন্মুক্ত থাকবে, তবে ঢাকায় প্রবেশের জন্য এই লেন ব্যবহার করা যাবে না।
ডিএমপি আশা করছে, এসব নির্দেশনা মেনে চললে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন হবে এবং যানজট ও দুর্ভোগ কমবে। রাজধানী ছাড়ার ও প্রবেশের সময় যাত্রীদের সতর্ক থাকার এবং নির্ধারিত রুট অনুসরণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।