ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেদারুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কালীগঞ্জ উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি, এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভায় নিন্মলিখিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়েছে, মাদক বিক্রি বন্ধ এবং মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারে কঠোর ভূমিকা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কমাতে পুলিশের নজরদারি এবং কার্যকর পদক্ষেপ জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শহরের ফুটপথ উচ্ছেদ এবং যানজট নিরসনে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ এবং নারী নির্যাতন বন্ধে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাজারের ভেতরের বড় ব্রিজে লাইটিং ব্যবস্থা উন্নত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সড়ক মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে হাইওয়ে পুলিশের কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করতে জোর দেওয়া হয়েছে।
সভায় বক্তব্য রাখেন কালীগঞ্জ থানার অফিসার-ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদার, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাসলিমা পারভিন, মৎস্য কর্মকর্তা হাসান সাজ্জাদ, সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শিবুপদ বিশ্বাস, কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জামির হোসেন, নয়ন খন্দকার, এবং হুমায়ুন কবির সোহাগ।
উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন আলম, কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব আলম রনি, মালিয়াট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম খাঁ, এবং অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকবৃন্দ।
সভায় হাইওয়ে পুলিশের ওসি উপস্থিত না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। আগামী সভায় তার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেদারুল ইসলাম জানান, “মাদক নিয়ন্ত্রণ, মাটি কাটা বন্ধ, এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সবাইকে গুরুত্ব সহকারে কাজ করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।”
কালীগঞ্জ উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির এই সভা অপরাধ নিয়ন্ত্রণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।