ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজারে দোকান বসানো নিয়ে বিরোধের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, দোকান ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হন এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে আটজনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বারবাজারে ছাগল হাটার জায়গায় ফুলবাড়ি গ্রামের এক ব্যক্তি টং দোকান বসাতে গেলে বারবাজারের ফাস্টফুড ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের ভাই ওহিদুল ইসলাম তা নিষেধ করেন। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে ফুলবাড়ি গ্রামের লোকজন ওহিদুলকে মারধর করে গুরুতর আহত করে।
ঘটনার জেরে সন্ধ্যায় বারবাজারে একটি শালিস বৈঠক আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু বৈঠকের আগেই ফুলবাড়ি গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত হয়ে বারবাজারে এসে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং শফিকুলের দোকান ভাঙচুর করে। এ সময় বাজারের ব্যবসায়ীরা প্রতিরোধে এগিয়ে এলে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে বারবাজার ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরিত ককটেলের অংশবিশেষ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে রাত ১২টার দিকে ফুলবাড়ি গ্রামের একটি স্কুল মাঠে হামলার উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী ও কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। অভিযানে ৮ জনকে আটক করা হয়।
ঘটনার পর ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭০ জনকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া বারবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ বনি আমিন পাইক আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। আটক আসামিদের রবিবার ঝিনাইদহ আদালতে পাঠিয়ে তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, “মারামারির উদ্দেশ্যে গভীর রাতে জড়ো হওয়া ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ককটেলের আলামতও সংগ্রহ করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
এই সংঘর্ষে ওহিদুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়া শফিকুল ইসলামের দোকানসহ বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় বারবাজারে আতঙ্ক বিরাজ করছে।