খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় দোহার খাল সংলগ্ন পানিগাতি গ্রামে সিনিয়র দিঘলিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে এবং জেলা মৎস্য অফিসার ডক্টর ফারহানা তাসলিমার সভাপতিত্বে সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট( ১ম সংশোধিত) Workshop on Introducing Participatory M & E (মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন)System at Upazila Level আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তর খুলনা বিভাগের সিনিয়র সহকারি পরিচালক মোঃ আব্দুল মান্নান আকন । বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা স্নিগ্ধা খাঁ বাবলী।
দিঘলিয়া উপজেলার পানিগাতি, ব্রহ্মগাতী এবং দিঘলিয়া গ্রামের খালপাড়ের ৩০ জন সুবিধা ভোগী ও এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। দিঘলিয়ায় বর্তমানে দুইটি খাল পূণঃখনন হচ্ছে। খাল দুটি যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী অর্থাৎ খালের গভীরতা এবং প্রস্থ্য ঠিক রেখে মানসম্পন্ন ভাবে খনন করা হয় সে বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করার জন্য অংশগ্রহণকারীরা মৎস্য দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন,খাল পানি প্রবাহে উৎস, কৃষি ও মৎস্যের সাথে এবং জীবন জীবিকার সাথে জড়িত। দিঘলিয়া উপজেলা নদী বেষ্টিত দ্বীপ । এখানকার মাটি যথেষ্ট উর্বর, তবে এলাকাটি জলা মগ্নতায় ডুবে থাকে। এই জলা মগ্নতা দূর করতে পারলে মৎস্য খাতে এখানে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসতে পারে। সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকার এ উপজেলায় খাল পূণঃখননের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। খাল পূণঃখনন সম্পন্ন হলে এলাকা থেকে পানি সহজে ওঠা নামা করতে পারবে যার ফলে এলাকায় ব্যাপক মৎস্য চাষ সম্পন্ন হবে এবং মৎস্যজীবীরা লাভবান হবেন। খালের পানি সহজে ওঠা নামা করতে পারায় এলাকার কৃষিজীবীরাও ব্যাপক ফসল ফলাতে সক্ষম হবেন । কৃষিতে এবং মৎস্য চাষে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে ব্যাপক কর্মকান্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে দিঘলিয়ায় খাল পুনঃখননের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ একটি সুজলা সুফলা দেশ। আমাদের প্রিয় এদেশে সম্পদের অভাব নাই। এই সম্পদকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশের অর্থনীতির চাকা আরো বেশি ঘুরবে। দিঘলিয়া উপজেলা মৎস্য চাষে স্বয়ংসম্পন্ন। এ অঞ্চলের মৎস্য ঘের গুলিতে গলদা চিংড়ির চাষ বেশি হয়। কিন্তু চিংড়ি মাছ পরিমিত খাবার এবং অক্সিজেন যদি না পায় তাহলে মারা যায়। তাই মাছে যেন পরিমিত খাবার পায় এবং অক্সিজেন পায় সেদিকে সকল মৎস্য চাষীকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে বলে জানান তিনি।