পাকিস্তানে আয়োজিত মুসলিম দেশগুলোতে মেয়েদের শিক্ষা বিষয়ে একটি বৈশ্বিক সম্মেলনে শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “ইসরায়েল গাজায় পুরো শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলে বোমা হামলা চালিয়ে ৯০ শতাংশের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। এমনকি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া বেসামরিক লোকজনের ওপরও নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে।”
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে অংশ নেন। সেখানে মালালা বলেন, “ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ জানানো অব্যাহত রাখব।”
মালালা উল্লেখ করেন, ফিলিস্তিনি শিশুরা তাদের জীবন ও ভবিষ্যৎ হারিয়েছে। তিনি বলেন, “যখন স্কুলে বোমা হামলা হয়, পরিবারকে হত্যা করা হয়, তখন একটি ফিলিস্তিনি মেয়ের ভবিষ্যৎ বলে কিছু থাকে না।”
ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়। এতে ইসরায়েলি পক্ষের ১,২০৮ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। হামাস ওই সময় ২৫১ জনকে জিম্মি করে, যাদের মধ্যে ৯৪ জন এখনো গাজা উপত্যকায় রয়ে গেছে।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৫৩৭ জন নিহত হয়েছেন। যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নারী ও শিশু। জাতিসংঘও এই পরিসংখ্যানকে নির্ভরযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করছে।