বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় গঠন, যুগোপযোগী পদ সৃষ্টি এবং জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ রেখে স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়নসহ দুই দফা দাবিতে প্রধান বিচারপতি ও আইন উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছেন ঝিনাইদহের বিচার বিভাগীয় কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন, ঝিনাইদহ জেলা শাখার পক্ষ থেকে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সকালে ঝিনাইদহ জেলা জজের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতির কাছে এবং জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আইন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন— ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি ইমাদ উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আসাফ উদ দৌলা মাসুম, এছাড়া সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীরাও এসময় উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের বলেন, “বিচার বিভাগ দীর্ঘদিন ধরে স্বতন্ত্র হলেও বিচার বিভাগীয় কর্মচারীরা এখনও সংস্থাপন শাখার অধীনে রয়েছেন। এ কারণে দ্বৈত শাসনের শিকার হতে হচ্ছে এবং পদোন্নতিতে দীর্ঘসূত্রতা দেখা যাচ্ছে।”
নেতারা আরও উল্লেখ করেন, বিদ্যমান ব্লক পদ বিলুপ্ত করে যুগোপযোগী পদ সৃষ্টি করতে হবে, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে, বিচার বিভাগের কর্মচারীদের জন্য স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, “পৃথক সচিবালয় গঠনের মাধ্যমে বিচার বিভাগের কার্যক্রম আরও গতিশীল করা সম্ভব। নতুন পদ সৃষ্টি না হওয়ায় কর্মচারীদের পদোন্নতি আটকে আছে। এতে বিচার বিভাগের কর্মক্ষমতা ব্যাহত হচ্ছে।”
তারা দ্রুত প্রধান বিচারপতি ও আইন উপদেষ্টা এই দাবি মেনে নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, বিচার বিভাগ দীর্ঘদিন ধরেই স্বাধীন ও স্বতন্ত্র হলেও কর্মচারীদের নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে এখনও তারা সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছেন। এই দ্বৈত শাসন কাঠামো কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে বলে দাবি করেন নেতারা।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি ইমাদ উদ্দীন বলেন, “আমরা বিচার বিভাগের কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। আমাদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।”
সাধারণ সম্পাদক আসাফ উদ দৌলা মাসুম বলেন, “বিচার বিভাগের উন্নতির জন্য আমাদের দুই দফা দাবি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দাবি মেনে নিলে বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের পেশাগত নিরাপত্তা ও কর্মদক্ষতা আরও বৃদ্ধি পাবে।”