দেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনসহ অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্টে অংশগ্রহণ শেষে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দেশে ফিরেছেন। চার দিনের সফরের পর, এমিরেটস এয়ারলাইন্সের বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান তিনি এবং তার সফরসঙ্গীরা।
ড. ইউনূস দাভোসে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেন। তিনি ৪৭টি অনুষ্ঠান ও পার্শ্ব ইভেন্টে যোগ দেন এবং একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। সফরের প্রথম দিনেই তিনি জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ, পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস-হোর্তা, এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমসহ বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
দ্বিতীয় দিনে, ২২ জানুয়ারি, তিনি প্রায় ১৪টি অনুষ্ঠান ও বৈঠকে অংশ নেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সঙ্গে বৈঠক। এই সময় তিনি “জলবায়ু ও প্রকৃতির অবস্থা” শীর্ষক একটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে বক্তৃতা দেন।
তৃতীয় দিনেও ড. ইউনূস ১৪টি নির্ধারিত অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং বিশ্বব্যাংক, ডিপি ওয়ার্ল্ড, এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ড. ইউনূস, ডব্লিউইএফ শীর্ষ সম্মেলনে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন এবং দাভোসের ক্লাইমেট হাবে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। তিনি আমেরিকান বিনিয়োগকারী রে ডালিও, মারিনো ম্যানেজমেন্ট এবং ডালিও ফ্যামিলি অফিসের প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে অংশ নেন।
ডব্লিউইএফ সম্মেলনে তার একাধিক বৈঠক দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং সামাজিক উদ্যোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ড. ইউনূসের এই সফর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক প্রভাব ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সুইজারল্যান্ড সফর দেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা এবং সম্পর্ক স্থাপনের সূচনা করেছে। তার কর্মসূচি, বৈঠক এবং বক্তৃতাগুলি বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশকে আরও দৃশ্যমান করতে সাহায্য করবে।